গুরুদীপ সিং, কলকাতা: বহু বছর ধরেই রিয়েল এস্টেট সেক্টর দেশের অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি। এই সেক্টরের মাধ্যমে যেমন কর্মসংস্থান হয়, তেমনই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ সাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সে দিক থেকে। তাই রিয়েল এস্টেটকে গুরুত্ব দেওয়া বিশেষভাবে জরুরি। অন্তবর্তী বাজেট হলেও ১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের চোখ রয়েছে কেন্দ্রের দিকেই।


উন্নয়নের সুযোগ থাকলেও এই ক্ষেত্রের কিছু সমস্যাও রয়েছে। সেগুলো কাটিয়ে ওঠা জরুরি। নগদের আমদানি রিয়েল এস্টেটের অন্যতম একটি সমস্যা। এই ক্ষেত্রটিতে নগদের অভাব গত বছরে কিছুটা মিটেছে। ১৫ শতাংশ নগদের অভাব মেটায় নতুন প্রকল্প শুরু করা সহজ হয়। এই সমস্যাটা এই বছর মেটাতে পারলে অনেকটাই উন্নয়ন হবে রিয়েল এস্টেটে।


এছাড়াও আবাসন প্রকল্পের প্রসার ঘটানোও বেশ জটিল অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে অনেক মানুষই শহরের দিকে চলে আসছেন। তাই কম খরচে আবাসন প্রকল্প চালু করা গেলে অনেকের জন্যই তা উপকারী হবে। অল্প খরচে বাড়ির প্রকল্প করা গেলে কর্মসংস্থানও বাড়াতে পারবে কেন্দ্র। যা আরও কিছু মানুষের জন্য উপকারী হবে। ফলে জিডিপি বাড়বে অর্থাৎ উন্নয়ন হবে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রের।


প্রতিটি প্রকল্পের জন্য যে বাড়তি সময় খরচ হয়, তাও কমিয়ে আনতে পারে সরকার। এর জন্য আর্থিক পুরষ্কারের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সেই মাফিক বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে। সাধারণত প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। সেই ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় বিনিয়োগকারীদের। সেই ঝামেলা অনেকটাই কমবে। 


এর পাশাপাশি সময়ের দাবি মেনে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ কাজকেও প্রাধান্য দিতে পারে সরকার। এর জন্য আলাদা করে কিছু সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ করা যেতে পারে। সারা বিশ্বই এখন সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্টের দিকে ঝুঁকছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রকল্পের চাহিদা বাড়ছে। এই ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জন করছে। এই বিশেষ দিকটিকে সরকার উৎসাহ দিলে তা ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।


এছাড়াও, রিয়েল এস্টেটের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিকে আরও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই মতো বরাদ্দ ঠিক করে উৎসাহ দিতে পারে কেন্দ্র। এই নিয়ে গবেষণা হয়েছে। দেখা গিয়েছে,  প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহার থাকলে সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা ৪০ শতাংশ কমে যায়। পাশাপাশি সন্তুষ্ট ক্রেতার সংখ্যাও ১৫ শতাংশ বাড়ে। যা ক্ষেত্রটির উন্নয়নের সামিল। ২০২৪ সালের বাজেটে সেদিকেও নজর রাখবে।


লেখক জুঝর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান


(লেখকের বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এটি এবিপি লাইভের নিজস্ব মতামত নয়।)


আরও পড়ুন - Defense Budget 2024: প্রতিরক্ষা খাতে কতটা ‘আত্মনির্ভর’ হবে দেশ ? ২০২৪ -এ বাজেট বরাদ্দ বাড়বে ?