Inflation Data: লোহিত সাগরে (Red Sea Crisis) জাহাজের ওপর একের পর এক হামলা চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের (Indian Economic Crisis)। অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) রিভিউ রিপোর্ট বলছে, পণ্য়বাহী জাহাজ সুরক্ষিত রাখতে ঘুরপথের সাহায্য় নিতে হচ্ছে। এই দীর্ঘ পথের কারণে বেড়ে যাচ্ছে জ্বালানি খরচ (Fuel Price Hike)। যার প্রভার দেশের দ্রব্যমূল্যে পড়বে। আগামী দিনে তাই ভারতের মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।  


কী বলছে অর্থমন্ত্রক


অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিভাগ ফেব্রুয়ারি 2024-এর মাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বলেছে,  খুচরো মুদ্রাস্ফীতি টানা ছয় মাস ধরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। পর্যালোচনা অনুযায়ী, ক্রমাগত দাম কমার কারণে মূল মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক লোহিত সাগর সংকটকে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ও ডিডিপির জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ বলে আশঙ্কা করছে। 


মুদ্রাস্ফীতি এখন নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে রয়েছে
অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের অর্থনৈতিক বিভাগ মাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বলেছে যে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার গত ছয় মাস ধরে RBI-এর সহনশীলতা ব্যান্ড থেকে 2 থেকে 6 শতাংশের মধ্যে রয়েছে। পর্যালোচনা অনুযায়ী, খাদ্যবহির্ভূত এবং জ্বালানি-বহির্ভূত মূল্যবৃদ্ধি অর্থাৎ মূল মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে যার কারণে মূল্যবৃ্দ্ধি কমেছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার হয়েছে ৫.৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ কম। অর্থ মন্ত্রকের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু খাদ্যদ্রব্যের দামের ওঠানামা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জুলাই ও আগস্ট মাস ছাড়া মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রয়েছে।


খাদ্য উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে
অর্থ মন্ত্রকের মতে, 2023-24 সালের দ্বিতীয় অগ্রিম অনুমান অনুসারে, গম উৎপাদনে 1.3 শতাংশ এবং খরিফ ধানের উৎপাদনে 0.9 শতাংশ লাফানো হতে পারে। গত বছরের তুলনায় অড়র ডালের উৎপাদনও ০.৯ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, আগামী মাসে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হতে চলেছে।


লোহিত সাগর সঙ্কটের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগর সংকটের প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দামের ওপর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের সাথে ভারতের পণ্য বাণিজ্যের 80 শতাংশ লোহিত সাগর দিয়ে যায়, যার মধ্যে অশোধিত তেল, অটো আনুষঙ্গিক, রাসায়নিক, টেক্সটাইল, পেট্রোলিয়াম ইস্পাত, যা প্রভাবিত হয়েছে। ব্যয়বহুল মালবাহী খরচ, বীমা প্রিমিয়ামের বর্ধিত ব্যয়, দীর্ঘ ট্রানজিট লাইনের কারণে আমদানিকৃত পণ্যগুলি ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্য বাধার কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, যা প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।


কী কারণে লোহিত সাগরে সমস্যা হচ্ছে


লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর আক্রমণের ফলে বাণিজ্য প্রবাহকে পুনরায় রুট করা হয়েছে যাতে শিপিং খরচ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ডেলিভারির সময় দীর্ঘায়িত হয়েছে, বিশেষ করে এশিয়া থেকে ইউরোপে বাণিজ্যের জন্য। অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতিসংঘের সম্মেলন (আঙ্কটাড) এর প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে সুয়েজ খাল তাদের সর্বোচ্চ স্তরের তুলনায় জানুয়ারী 2024 সালে যথাক্রমে 42 শতাংশ এবং 49 শতাংশ ট্রানজিট হ্রাস পেয়েছে।


Rupee Fall: ডলারের তুলনায় টাকার ঐতিহাসিক পতন, সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁলো, সোনা ও রূপার দামেও পতন