কলকাতা: লোকসভা ভোটের মুখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (CM Arvind Kejriwal) গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ভোটের আগে সারাদেশের মধ্যে নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে নজরের কেন্দ্রবিন্দু এখন রাজধানী। ইডির হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরপরই রাজ্য বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee)। বলাগড়ের সভা থেকে এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, 'যতোই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।'
'যতোই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি'
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'যতোই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটির পালা এসে গিয়েছে। হাওয়াই চটি জানে, যে আমার অবস্থা কী হতে চলেছে !' এরপরেই বাম-তৃণমূলের 'সেটিং তত্ব' অস্তিত্ব বিশ্লেষণ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আপনারা বলুন, সিপিএম কোথাও আছে ? জনসভা থেকে উত্তর আসে, 'না।'
'মীনাক্ষার জ্যাঠামশাই সীতারাম, চোর ভাইপোর সঙ্গে বসে কাটলেট খায়'
শুভেন্দুর সংযোজন, ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছে। ভোট কেটে যাতে তৃণমূলকে যাতে জেতানো যায়, এই একুশ সালে সংখ্যা লঘুদের ভোট কাটতে পারেনি। আমাদের ভোট কেটেছে চন্দননগরে, চুচূড়ায়, আদিসপ্তগ্রামে, বলাগ্রামে, ধনেখালি, পান্ডুয়াতে।এরা চোর তৃণমূলকে রাখার ব্যবস্থা করে। এখানে বলে, চোর ধরো জেল ভরো, আর মীনাক্ষা-শতরূপের জ্যাঠামশাই সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, মুম্বই,ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লিতে এই চোর ভাইপোর সঙ্গে বসে কাটলেট খায়।'
আরও পড়ুন, 'বেধড়ক মারে' TMC কর্মীর মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, উত্তপ্ত গোপালপুর..
'..বিশেষ করে বিজেপির সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার পরে'
ভোটের মুখে ইডি-র হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, 'জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমর্থন ও সমবেদনা জানিয়েছি।এটা আপত্তিজনক যে নির্বাচিত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু যখন সিবিআই বা ইডি তদন্তের আওতায় থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অসদাচরণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে বিজেপির সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার পরে। এটা গণতন্ত্রের ওপর নির্লজ্জ আঘাত।'