নয়াদিল্লি: হ্যাচব্যাকের থেকে এসইউভির দিকে ক্রেতাদের নজর ঘোরাতে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির বাজি ছিল সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি (Sub Compact SUV)। সেই কাজে সফল হয়েছে এই গোত্রের গাড়ি। দাম ও কাজের (efficiency) দিক বিচার করে ক্রেতাদের একটি বড় অংশ হ্যাচব্য়াক থেকে সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি-র দিকে ঝুঁকেছেন। ওই সেগমেন্টের মধ্যে এখন সবচেয়ে প্রথমে যে দুটি নাম উঠে আসছে তা হল Renault Kiger এবং  Nissan Magnite. দুটিই সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি। দুটি গাড়িই GNCAP-এ 4star rating পেয়েছে।


স্টাইলিংয়ে তফাত:
বাইরের ডিজাইনের দিক থেকে দুটি গাড়ির মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই। ডিজাইনের দিক থেকে একাধিক পার্থক্য রয়েছে। দুটির মধ্য়ে  Renault Kiger-এর লুক অনেক বেশি স্পোর্টিং। বিশেষ করে গাড়ির পিছনের দিকের ডিজাইন (rear styling) অনেকটাই আলাদা। অন্যদিকে  Nissan Magnite-এর ডিজাইন চলতি এসইউভির মতো নয়। ফলে লুকসের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে Renault Kiger. 




অন্দরসজ্জায় কে এগিয়ে?
ফিচারের দিক থেকে দেখলে দুটি সংস্থার গাড়ির মধ্য়ে একাধিক মিল রয়েছে। দুটি গাড়িতেই রয়েছে ইঞ্জিনের Start/Stop সুইচ। দুটিতেই রয়েছে টাচস্ক্রিন। তবে সেখানে একাধিক আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ম্যাগনাইটে টাচস্ক্রিনের পজিশনের তুলনায় কাইগারে আলাদা রয়েছে। এয়ার ভেন্ট (Ai Vent) এর দিকেও অনেকটাই আলাদা  Nissan Magnite-এ।   Renault Kiger-এর ড্যাশবোর্ড অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ড্য়াশবোর্ডে রয়েছে Gloss Black ডিজাইন। গাড়ির গতি ও আনুষাঙ্গিক তথ্য়ের জন্য  Nissan Magnite-এর ডিসপ্লেতে নতুনত্ব রয়েছে। Renault Kiger-এ রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে যা আবার অনেকের প্রথম পছন্দ। 


নানা ফিচার:
টাচস্ক্রিন, ওয়ারলেস চার্জিং (Wireless Charging) রয়েছে। Nissan Magnite-এ রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা। রয়েছে JBL অডিও সিস্টেম। সেখানে Renault Kiger-এ  রয়েছে একাধিক ড্রাইভ মোড। অন্দরসজ্জায় ব্যবহার হয়েছে আলোর কারুকাজ। তার সঙ্গেই কাইগারে রয়েছে Arkamys audio। রয়েছে  2.5 air filter. মাইলেজ নিয়ে চিন্তায় থাকে সব ক্রেতাই।  Nissan Magnite-এ রয়েছে ড্রাইভিং ইকো (Driving Eco) মোড। গাড়ি কতটা চলল, তার উপর দাঁড়িয়ে কতটা মাইলেজ দিল, সব তথ্যই মেলে এর মাধ্যমে। 




নিরাপত্তার খুঁটিনাটি:
Renault Kiger-এ  এয়ারব্যাগের সংখ্যা বেশি। এখানে রয়েছে ৪টি এয়ারব্যাগ। সঙ্গে ফ্রন্ট পার্কিং সেনসরও রয়েছে রেঁনো কাইগারে। পাশাপাশি Nissan Magnite-এ  রয়েছে ২টি এয়ারব্যাগ। যদিও গাড়ির ভিতরের জায়গা নিয়ে তুলমূল্য বিচার করলে এগিয়ে থাকবে Magnite। এই গাড়িতে পিছনের আসনে সহজেই তিনজন বসতে পারেন। উল্টোদিকে কাইগারেও রয়েছে তুলনায় বেশি Boot Space. 


ড্রাইভিংয়ে কে এগিয়ে:
এই বিচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল CVT turbo petrol মডেল। 1.0 non turbo পেট্রোল ইঞ্জিনের অপশনও রয়েছে। যা তুলনায় অনেকটাই সস্তা। সেই মডেলে রয়েছে AMT গিয়ারবক্স অপশন। CVT মডেলে দুটি গাড়ির ক্ষেত্রেই  এক লিটারের টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। যা খুবই শক্তিশালী। তার সঙ্গে CVT অপশন গাড়ি চালানো আরও সহজ করে। দুটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স (ground clearance) যথেষ্ট, স্টিয়ারিং ব্যবহারও সুবিধাজনক। হাইওয়েতে হাই স্পিডে দুটি গাড়ির পারফরম্যান্স বেশ ভাল। তবে হাইস্পিডে cabin noise এর সমস্যা দেখা গিয়েছে। CVT গিয়ারবক্স নিয়েও কোনও সমস্যা নেই। তবে খারাপ রাস্তায় body control বিচার করলে এগিয়ে থাকবে Renault Kiger. তবে পুরোদস্তর অফ-রোডিং (off-roading) এর ক্ষেত্রে বেশি ভরসা করা যায় Nissan Magnite-কে। দুটি গাড়িই মোটামুটি লিটারে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার মাইলেজ দিয়ে থাকে।


দামের তারতম্য:
Renault Kiger-এর CVT মডেলের এক্স-শোরুম দাম ১০.৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে Nissan Magnite- এর সবচেয়ে আধুনিক মডেলের দাম ১০.১৫ লক্ষ টাকা। 


আরও পড়ুন: এই ৬ স্মার্টফোন লঞ্চ হতে পারে এপ্রিলে, দাম শুরু ১০,০০০ টাকা থেকে