নয়াদিল্লি:  অর্থনীতির শ্লথ গতিতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তার মধ্যেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালে। কারণ টাকার দামে লাগাতার পতন ঘটেই চলেছে(Rupee Fall) (Rupee All Time Low)। 


টাকার দামে লাগাতার পতন অব্যাহত


ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ বার টাকার দামে পতন ঘটেছে। ৭৪ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৮০ হওয়ার পথে এগোচ্ছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই পাঁচ বার টাকার দামে পতন ঘটেছে। তার জেরে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে টাকার দাম। 


চলতি মাসেই পাঁচবার সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে টাকা। তাতেই দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮০ কোটায় প্রবেশ করলে আরও নীচে নেমে যেতে পারে টাকা। দেশে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) এমনিতেই ৯.১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে, বিগত ৪০ বছরে যা সর্বোচ্চ। তাই টাকার দাম এ ভাবে পড়তে থাকলে আরও বড় সঙ্কট নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।  


আরও পড়ুন: NFO Scheme July 14, 2022: নতুন ফান্ড অফার এনএফও স্কিম মূল তারিখ মূল্য বিবরণ


ব্যবসা বাণিজ্য এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ঘাটতি ক্রমশ বেড়ে চলাতেই টাকার দাম লাগাতার নিম্নমুখী হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতেও (Price Hike) তা আটকানো যায়নি। জ্বালানির চাহিদার ৮০ শতাংশেই বিদেশ থেকে আমদানি করে মেটায় সরকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তার উপরও প্রভাব পড়েছে। খুব শীঘ্র এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার  সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। 


তবে শুধু ভারতীয় মুদ্রাই নয়, ইউরো-সহ বিশ্বের অন্য দেশের মুদ্রার দামেও লাগাতার পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এক দিন ডলারের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে আসছিল ইউরো, বুধবার তাতেও ছেদ পড়েছে। গত ২০ বছরে এই প্রথম ডলারের থেকে নীচে নেমে গিয়েছে ইউরোর দাম। প্রতি ডলারে ইউরোর দাম এসে ঠেকেছে ০.৯৯৯৮-তে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছ ইউরোপ। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ইউরোর এই পতন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আগামী দিনে খাদ্যপণ্য থেকে জ্বালানি, সবকিছুর দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


মূল্যবৃদ্ধি চরমে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা




টাকাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে একাধিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়। আমদানিকৃত সোনার উপর শুল্কের হারও বাড়ানো হয়, বিক্রি করা হয় ডলার। কিন্তু তার কোনওটিই ফলদায়ী হয়নি। বরং পতন অব্যাহত থেকেছে। তবে বিশ্ব জুড়ে যএ সঙ্কট নেমে এসেছে, তার সামনে চমকপ্রদ কিছু না ঘটিয়ে ঝুঁকি বাড়ানো চেয়ে টালমাটাল অবস্থা সামাল দেওয়াই আপাতত লক্ষ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।