কলকাতা: সারদা মামলা (Sarada Case) নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য। সম্প্রতি ওই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। গোটা ঘটনায় তাঁর নিশানা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই ঘটনায় পর থেকেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ চেয়ে পথে নেমেছিল তৃণমূল। এবার সারদাকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। সোমবার ওই মামলার শুনানির সম্ভবনা।
তৃণমূলের ভিডিও:
২৪ জুন, সুদীপ্ত সেনের একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল। সেখানে সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন এবং শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসা করছেন, কাঁথিতে কার কথায় গিয়েছিলেন। তখন সুদীপ্ত সেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম বললেন। প্রশ্ন করা হয় দ্বিতীয় চিঠির বয়ানে কার নাম ছিল? ফের শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেন সুদীপ্ত সেন। তারপরে প্রশ্ন করা হয় কত টাকা নিয়েছিল, কী বলে টাকা নিত? তখন সুদীপ্ত সেন সেন বলেন, একটা জমির ব্যাপার ছিল। আরেকটা স্যাংশনড প্ল্যানের ব্যাপার ছিল। ব্ল্যাকমেল করা হতো বলেও জানাচ্ছেন সুদীপ্ত সেন। তৃণমূলের দেওয়া ওই ভিডিওতে এমনই সব চাঞ্চল্যকর দাবি শোনা গিয়েছে সুদীপ্ত সেনের মুখে।
যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তখন।
ফের অভিযোগ:
এরপর, ৩০ শে জুন। সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের একটি মামলার শুনানির জন্য, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে আসা হয়। আদালতে ঢোকার সময় ফের বিস্ফোরক দাবি করেন জেলবন্দি সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, কাঁথিতে। উনি আমাদের ম্যানিপুলেশন অনেকরকমভাবে করেছেন। কাঁথিতে একটা হাইরাইজ বিল্ডিং করার জন্য, উনি ৫০ লক্ষ টাকা কাঁথি পুরসভাকে ডিপোজিট করলেন, আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের কাজকর্ম করালেন। করার পর যখন আমরা লেবার হাট কমপ্লিট করলাম, ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট কমপ্লিট করেছিলাম। তারপর উনি আমাদের প্ল্যান দেননি।' তার আগেও কোনও টাকা নিয়েছিলেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন, আগেও টাকা নেওয়া হয়েছিল।
এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টানেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব বলাচ্ছে'
এই বিষয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমরা তো প্রথম থেকেই বলছিলাম, ওকে অ্যারেস্ট করা হোক।'
সিপিএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, 'যাঁরা দুর্নীতি করল। তাঁরা গ্রেফতার হচ্ছে না। টাকা কোথায় গেল বের করতে হবে।'