Indian Economy : বুধের পর বৃহস্পতিবারেও ডলারের তুলনায় কমল টাকার দাম (Rupee Record Low)। এই নিয়ে সর্বোচ্চ পতন হয়েছে টাকার মূল্যে (Rupee Low)। আজ ডলারের তুলনায় রুপির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯০.৪৩ টাকায়। তবে এই পতনের অসুবিধার পাশাপাশি সুবিধা পাচ্ছে এই খাতগুলি। জেনে নিন, কারা পাচ্ছে টাকার পতনের লাভ (Profit) ।
কী কারণে এই পতনবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে দেরি ও ভারতের শেয়ার বাজার থেকে ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টাররা (FPI) বেরিয়ে যেতেই এই পতন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় রুপির দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে, যা মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন ৯০.৪৩-এ নেমে এসেছে। এদিন প্রথম ট্রেডিং সেশনে রুপি ১৭ পয়সা দুর্বল হয়ে ৯০.৩৬-তে খুলেছে। যা আগে ৯০.১৯-এর তুলনায় বন্ধ হয়েছিল। সকালের সেশনে প্রতি ডলারের তুলনায় টাকা সর্বনিম্ন ৯০.৪৩-তে পৌঁছেছে।
এরফলে কোন কোন সেক্টরে লাভআইটি সেক্টর:টাকার এই পতনের ফলে আইটি কোম্পানিগুলির লাভ হবে। কারণ বিদেশে তারা পরিষেবার বিনিময়ে ডলার পান। খরচ মূলত রুপির উপর নির্ভরশীল হওয়ায়, মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে লাভ বৃদ্ধি পাবে।
ফার্মা সেক্টর :একই পরিস্থিতি দেখা যাবে ওষুধের সেক্টরে। ভারতের বহু ওষুধের কোম্পানি বিদেশ থেকে ডলারের বিনিময়ে ওষুধ পাঠায়। ফলে ডলার বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের আদতে লাভ হবে।
অটো সেক্টর:টিভিএস মোটর ও বাজাজ অটোর মতো রফতানিকারক ভারী দুই-চাকার গাড়ি নির্মাতারা দুর্বল রুপির থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। ভারত ফোর্জ ও সম্বর্ধনা মাদারসনের মতো অটো সহযোগী সংস্থাগুলিও উন্নত রফতানির সুবিধা পাবে।
তেল ও গ্যাসের খাতে কী হবে :ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়ার মতো উৎপাদকদের জন্য, রুপির প্রতি ১ টাকা অবমূল্যায়ন শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১-২ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। উল্টোদিকে, অপরিশোধিত তেল, এলএনজি এবং ইথেন আমদানির উচ্চ ব্যয়ের কারণে, দুর্বল রুপি শোধনাগার ও রিলায়েন্সের মতো আমদানি নির্ভর সংস্থাগুলির লাভের অঙ্ক কমাতে পারে।
কে লাভবান হবে, কে ক্ষতিগ্রস্থ হবেএটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলবে, কারণ এটি আমদানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে, যার ফলে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এই ধাক্কা শেয়ার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, বিদেশে পড়াশোনার খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। আসুন পরীক্ষা করে দেখি রুপির এই তীব্র পতনে কে লাভবান হবে এবং কে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
কী ব্যয়বহুল হবে ?রুপির পতন আমদানিকে আরও ব্যয়বহুল করে তোলে। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনের জন্য ডলার ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ, অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের মূল্য ডলারে পরিশোধ করতে হবে। অতএব, যখন রুপির মূল্য হ্রাস পায়, তখন আমাদের প্রতি ডলারের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে। যখন পণ্য বেশি দামে কেনা হয়, তখন সেগুলিও বেশি দামে বিক্রি হবে, যা আপনার পকেটে প্রভাব ফেলবে।