Russia-Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতে। কৃষ্ণ সাগরের একাধিক বন্দরে খাবার তেল আটকে থাকায় দেশে বাড়বে সূর্যমুখী তেলের দাম। জানা গিয়েছে, ওই বন্ধরগুলির বিভিন্ন জাহাজে আটকে রয়েছে ৩,৮০,০০০ টন সূর্যমুখী তেল।
Russia-Ukraine Conflict: সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, এই বন্দরগুলিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে আটকে রয়েছে ভারতের অর্ডার করা বিপুল তেলের রসদ। এই অঞ্চল থেকে সূর্যমুখী তেল আমদানি করে ভারত। রয়টার্সকে তেলের ডিলাররা জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে বর্তমানে 570 মিলিয়ন ডলার মূল্যের কার্গো লোড করার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই ভারতকে মার্চ-এপ্রিলের জন্য সূর্যমুখী তেলের পরিবর্তে পাম ও সয়াবিন তেল নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
Russia-Ukraine Conflict: বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে সূর্যমুখী তেল বোঝাই জাহাজ ভারতে না এলে সমস্যা বাড়বে ভারতের। এ প্রসঙ্গে ভেজিটেবল অয়েল ব্রোকারেজ অ্য়ান্ড কনসালটেন্সি ফার্ম সানভিন গ্রুপের প্রধান সন্দীপ বাজোরিয়া জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লোডিং আবার শুরু না হলে শিপমেন্ট দেরির কারণে দেশে সূর্যমুখী তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
Russia-Ukraine War: কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে প্রায় 510,000 টন সূর্যমুখী তেলের আমদানির চুক্তি করেছে ভারত। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যেই দেশে এই তেল পৌঁছে যাওয়ার কথা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত মাত্র 130,000 টন সূর্যমুখী তেল জাহাজে তোলা হয়েছে। অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন ডিলাররা। পরিসংখ্যান বলছে, কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে বিশ্বের 60 শতাংশ সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। এই অঞ্চল থেকেই তেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যায়। এই তেল আমদানির ক্ষেত্রে সবার ওপরে নাম রয়েছে ভারতের। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের এই পরিস্থিতির ফলে বিকল্প রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ভারত। কেন্দ্র এখন মালয়েশিয়ান পাম অয়েল ও ইউএস সয়াবিন তেলের অর্ডারের বিষয়ে ভাবছে। যা ইতিমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।।