ওয়াশিংটন: কানাডার পর এবার আমেরিকা।  ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন আমেরিকায় ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হল।  


এখনও পর্যন্ত অন্য যে সব করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সবই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।  ফাইজারের ভ্যাকসিন অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। 


ইতিমধ্যেই কানাডা ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করেছে।  এবার সেই পথে হাঁটল আমেরিকাও।  


গতকাল, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ফাইজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখন সেদেশের ভ্যাকসিন পরামর্শদাতা কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় মার্কিন প্রশাসন। 


বলা হচ্ছে, সম্ভবত বুধবার এই সুপারিশ মিলতে পারে। একবার তা চলে এলে, ১২-১৫ বছর বয়সীদের ফাইজার টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।


পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, সব বয়সী স্কুল-পড়ুয়াদের টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলই মনে করছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত যতগুলি ভ্যাকসিন বেরিয়েছে, ফাইজার বাদ দিয়ে সবকটি কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সীমাবদ্ধ।


কানাডায় ফাইজারের টিকা ১২ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক ও জনস্বাস্থ্য়কর্মী-- সকলেই অপেক্ষা করছেন, এই ভ্যাকসিন খুদেদের কতটা রক্ষাকবচ দিচ্ছে। 


সম্প্রতি, প্রায় ২ হাজার ১২-১৫ বছর বয়সী খুদেদের ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চালিয়েছিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। 


জানা গিয়েছে, সেখানে ফাইজারের টিকাকে নিরাপদ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১২-১৫ বছর বয়সীদের দারুন সুরক্ষা দিয়েছে এই ভ্যাকসিন। 


মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাদের শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যাচ্ছে।


বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৩৩ জনের।  আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৮৬ লক্ষ ২ হাজার ৪৯২।  


গতমাসে এই মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতে তারা কেবলমাত্র সরকারি মাধ্য়ম দিয়েই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।