নয়া দিল্লি : সোনায় বিনিয়োগ করতে চান ? পরিবর্তে Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। ছয় কারণে এই গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগের কথা বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক। জেনে নিন সেই কারণগুলি।


কোভিডকালে বাজারের অনিশ্চতার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে সোনা। ফিজিক্যাল গোল্ডের পরিবর্তে গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগ করেছেন গ্রাহকরা। বাজার বলছে, Sovereign Gold Bond স্কিমে এক গ্রামের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৮০৭ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের স্কিমের সিরিজ ৪-এ এই দাম নির্ধারণ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এবার ক্রেতাদের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আরও কম দামে এই বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 


নতুন নোটিফিকেশন অনুসারে, এই গোল্ড বন্ডের ইস্যু প্রাইস রাখা হয়েছে ৪৭৫৭ টাকা প্রতি গ্রাম। তবে এই ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রেখেছে আরবিআই। যেখানে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মূল্যের থেকে ৫০ টাকা কম দামে বন্ড পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে ক্রেতাদের। এমনকী ডিজিটাল মোডে পেমেন্ট করলেই মিলবে এই ছাড়।


ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগের এই সুবিধা নিয়ে মুখ খুলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক। ট্যুইট করে এসবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে , কেন Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগ করা লাভজনক। 


কেন Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগ করবেন ?


সর্বোচ্চ ফেরত : অন্যান্য গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগের তুলনায় SGB-তে ইনভেস্ট করা অনেক ভাল। কারণ এই বন্ড অন্যদের থেকে অনেক ভাল লাভ দেয়। গোল্ডের মার্কেট রিটার্ন ছাড়াও প্রতি বছর অতিরিক্ত ২.৫ শতাংশ করে সুদ দেয় এই বন্ড।


কম আয়কর : প্রতি বছর SGB-তে ২.৫ শতাংশ করে সুদ আয়করের আওতায় পড়ে। যদিও মেয়াদকাল পর্যন্ত এই গোল্ড বন্ড না ভাঙালে মূলধন বৃদ্ধির যে আয়কর তা দিতে হবে না বিনিয়োগকারীকে। অন্য ক্ষেত্রে গোল্ড ইটিএফ ও গোল্ড ফান্ডের মূলধন বৃদ্ধির কর বিনিয়োগকারীকে দিতে হয়। এই ক্ষেত্রে তিন বছর পূর্ণ হলেই মূলধন বৃদ্ধির কর দিতে হয় ইনভেস্টরকে। 


ঋণের সুযোগ : এই নির্দিষ্ট গোল্ড বন্ড ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জমানতের কাজ করে।


রাখার সমস্যা: সাধারণ সোনার জিনিস দামি হওয়ায় ঘরে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে Sovereign Gold Bond-এ বিনিয়োগে এই ধরনের কোনও ঝুঁকি নেই।


লিকুইডিটি: এই গোল্ড বন্ড এক্সচেঞ্জে সহজেই কেনা বা বিক্রি করা যায়। তাই লিকুইডিটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।