Toxic Work Culture: বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির অধীনে কর্মরত প্রায় সকল কর্মী এবার একজোট হয়ে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলার অভিযোগ জানালেন সেবির চেয়ারপার্সন (SEBI Controversy) মাধবী পুরি বুচের বিরুদ্ধে। তবে মাধবী পুরি বুচ (SEBI Chairperson) এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে বাইরের কিছু প্ররোচনায় সেবির কর্মীরা বিপথগামী হচ্ছেন, বিভ্রান্ত হচ্ছেন।


অভিযোগের বিরুদ্ধে কী জানাল সেবি


বুধবার সন্ধ্যায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি এ নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, কাজের সংস্কৃতি ও পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে বাইরের কিছু প্ররোচনার কারণে আনা হয়েছে এবং কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়েছেন, বিপথগামী হয়েছেন। মাধবী বুচ (SEBI Chairperson) জানিয়েছেন যে এই ধরনের অভিযোগের উদ্দেশ্যই হল প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা সন্দেহজনক করে তোলা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজারের জটিল ইকোসিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


এই খবর জানা গিয়েছে


এর আগে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছিল যে, সেবির (SEBI Controversy) কর্মীদের একাংশ মাধবী পুরি বুচের বিরুদ্ধে অফিসে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলা, কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার মত অভিযোগ এনেছেন। এমনকী গত মাসে অর্থ মন্ত্রককে চেয়ারপার্সনের দুর্ব্যবহার নিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে সেবি আধিকারিকদের তরফে।


সেবির কর্মীরা এই অভিযোগ এনেছেন


সেবি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে মাধবী পুরি বুচ বিষাক্ত কর্মসংস্কৃতির প্রচার করেন, তাঁর আমলে সভায় বৈঠকে চিৎকার করা ও প্রকাশ্যে কর্মীদের অপমান করা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভিযোগপত্রে ৫০০ জন সেবির কর্মীর স্বাক্ষর রয়েছে। সেবির মোট কর্মচারীর সংখ্যা ১ হাজার জন, অর্থাৎ কর্মীদের অর্ধেকাংশই অর্থমন্ত্রকের কাছে চিঠিতে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।


জেনেবুঝেই এই ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে


বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি জানিয়েছে ২০২৩ সালে কর্মীদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরে HRA ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও অনেক দাবি তুলেছে তারা। এমনকী বহু কর্মী সংস্থার KRA আপডেট করার বিষয়েও আপত্তি জানায়, মাধবী পুরি বুচের মতে কিছু কিছু কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে এমন আখ্যান তৈরি করার চেষ্টা করছেন।


আরও পড়ুন: SME IPO: ৮ কোটির IPO-র জন্য বিনিয়োগ এসেছে হাজার কোটিরও বেশি ! এই IPO-কে ঘিরে বাড়ল বিতর্ক