Shark Tank: ছোট হয়েও বড় কাজ। মাত্র ১৩ বছরের মেয়ে তৈরি করেছে অ্যান্টি র‌্যাগিং অ্যাপ। শার্ক ট্যাঙ্ক গেম শো আসতেই কোম্পানির দক্ষতা পরখ করতে দেরি হয়নি বিচারকদের। ৫০ লক্ষ টাকার ফান্ড পেল অনুষ্কা জলি।


তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। র‌্যাগিংয়ের শিকার এক সহপাঠীর মুখ দেখে চমকে উঠেছিল অনুষ্কা। ঘটনাটি মারাত্মক নাড়া দেয় তার জীবনে। যার ফলস্বরূপ শুরু হয় এক নতুন ভাবনা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও বিশেষজ্ঞের সাহায্যে 'Anti Bullying Squad (ABS)' অ্যাপ তৈরি করে এই ছোট মেয়ে।


ইতিমধ্যেই দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে এই অ্যাপ। যেখানে ১০০ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০০০ জন পড়ুয়ার জীবনে ইতিবাচক ছাপ ফেলেছে এই অ্যাপ। যা এক কথায় অনবদ্য কাজ।তিন বছর আগেই এই অ্যাপ তৈরি করেছে জলি। অ্যান্টি-র‌্যাগিং এই অ্যাপের নাম রাখা হয়েছে 'Kavach'। এই অ্যাপের মাধ্যমে পড়ুয়া ছাড়াও শিক্ষক ও অভিভাকদের একই প্লাটফর্মে নিয়ে এসেছে অনুষ্কা। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা র‌্যাগিংয়ের শিক্ষার হলেই পাবেন অভিযোগের প্লাটফর্মে। সব দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এখানে রয়েছে কাউন্সিলিংয়েরও সুযোগ। 


নিজের অ্যাপ নিয়ে পুরোনো দিনের স্মৃতি আওড়েছে অনুষ্কা। সে জানিয়েছে, স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের দিন এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল, যা তাকে নাড়া দিয়েছিল। সেদিন কিছু বন্ধু মিলে ছয় বছরের একটি মেয়েকে বিরক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই বন্ধুর নাম ধরে ডেকে হেসেই চলেছিল বাকিরা। যাতে মানসিকভাবে হেনস্থা হতে হয়েছিল আক্রান্তকে।"যা দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে সমস্যাটা প্রায় সব জায়গায় রয়েছে। আমার বয়সের আরও অনেক শিশুকে বুলিং ও আত্মবিশ্বাস হারানোর শিকার হতে দেখেছি।" পরর্বতীকালে সেই থেকেই জন্ম নিয়েছে 'Kavach'।  এই সামাজিক উদ্যোগকে  টিভি রিয়েলিটি শো শার্ক ট্যাঙ্কের উদ্যোক্তারাও স্বাগত জানিয়েছে। সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিযোগী হিসাবে ইতিমধ্যেই এই অ্যাপের জন্য ৫০ লাখ টাকার তহবিলের প্রস্তাব দিয়েছে টিম শার্ক ট্যাঙ্ক।