Interest Rate: সাধারণ মানুষদের কাছে এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প একটি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম। ঝুঁকি অনেক কম আর রিটার্ন সেই তুলনায় বাঁধাধরা। এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারই এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের হার ঠিক করে দেয়। প্রতি ত্রৈমাসিকের আগে এই সুদের হার ঠিক করে দেয় সরকার। এই পরিসরে, ৩১ মার্চ চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ শেষ হয়ে যাবে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবর্ষ। এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকের জন্য সরকার এবার এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের (Small Saving Scheme) নতুন সুদের হার ঘোষণা করেছেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা কিংবা ন্যাশনাল সেভিংস স্কিমে এবার থেকে কত সুদের হার মিলবে ?
পিপিএফেই মিলবে ৭.১ শতাংশ সুদ
৮ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে নতুন অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা ইত্যাদি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হারে কোনও বদল হবে না। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগের (Small Saving Scheme) মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ বছরে ৭.১ শতাংশ সুদ পাবেন।
কোন প্রকল্পে কত সুদ পাওয়া যাবে নতুন অর্থবর্ষে
পোস্ট অফিসের সেভিং অ্যাকাউন্টে – ৪ শতাংশ
পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম – ৬.৯- ৭.৫ শতাংশ
রেকারিং স্কিম- ৬.৭ শতাংশ
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম – ৮.২ শতাংশ
মান্থলি ইনকাম স্কিম – ৬.৪ শতাংশ
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট – ৭.৭ শতাংশ
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড – ৭.১ শতাংশ
কিষাণ বিকাশ যোজনা – ৭.৫ শতাংশ
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা – ৮.২ শতাংশ
৩১ মার্চের আগে করতে হবে এই কাজ
পিপিএফ কিংবা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বিনিয়োগ (Small Saving Scheme) থাকলে ৩১ মার্চের আগেই আপনাকে সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স। আর ন্যূনতম ব্যালেন্স না থাকলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে আপনার। পরে সেই একই অ্যাকাউন্ট ফাইন দেওয়ার পরেই ফের সক্রিয় হবে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে প্রতি বছর ৫০০ টাকা থেকে ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় কেউ চাইলে ন্যূনতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বাধিক ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারা অনুসারে ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: PPF SSY Deadline: পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধিতে অ্যাকাউন্ট আছে ? ৩১ মার্চের মধ্য়ে করতে হবে এই কাজ