Investment: সোভরেইন গোল্ড বন্ড স্কিমের (Sovereign Gold Bond) তৃতীয় সিরিজের সাবস্ক্রিপশন শুরু হতে চলেছে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর। এমনটাই ঘোষণা করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। চলতি অর্থবর্ষে এটা ছাড়াও আগামীতে ফেব্রুয়ারি মাসেও চতুর্থ সিরিজের সাবস্ক্রিপশন শুরু হতে পারে।


আপাতত ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর এই পাঁচটি ট্রেডিং ডে-তে খোলা থাকবে সাবস্ক্রিপশনের সুযোগ। এর আগে মার্চ মাসে আরেকটি সাবস্ক্রিপশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে। সেখানে গ্রাম প্রতি সোনার ইস্যু প্রাইস নির্ধারিত হয়েছিল ৫৬১১ টাকা। তবে এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত কোনও ইস্যু প্রাইস নির্ধারণ করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে অনলাইনে এই গোল্ড বন্ড কেনা বা টাকা লেনদেন করলে তাতে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড়ও পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল কী এই গোল্ড বন্ড? কীভাবেই বা আপনি এটি কিনতে পারবেন?


গোল্ড বন্ড কী?


২০১৫ সালে প্রথম ভারত সরকার এই সোভরেইন গোল্ড বন্ড স্কিম(SGB) চালু করে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সময়ে সময়ে এই গোল্ড বন্ডের সাবস্ক্রিপশন চালু করে। প্রতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এর সাবস্ক্রিপশনের মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পাকা সোনা না কিনে সোনার দামের উপর একটি বন্ড কেনেন ক্রেতা। এই বন্ড একটি বিনিয়োগ যা সোনার দামের উপর নির্ভরশীল। একটি নির্দিষ্ট ওজনের সোনার দাম কেনা হয় এই গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে যা পরে বেচে রিটার্ন পাওয়া যায়।


কত সোনা কিনতে হয়?


ন্যূনতম ১ গ্রাম সোনা এবং সর্বোচ্চ ৪ কেজি সোনা (হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য) কেনা যায় এই বন্ডে। তবে আরবিআই জানিয়েছে কোনও ট্রাস্ট একটি অর্থবর্ষে সর্বাধিক ২০ কেজি পর্যন্ত সোনার মূল্যে বন্ড (Sovereign Gold Bond) কিনতে পারে।


কোথায় কিনবেন বন্ড?


স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন, স্টক এক্সচেঞ্জ (Stock Exchange), ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ইত্যাদি জায়গায় খুব সহজেই কিনে ফেলা যায় সোভরেইন গোল্ড বন্ড।


কতদিনের জন্য বিনিয়োগ? কত রিটার্ন?


গোল্ড বন্ডের মেয়াদ আট বছর, তবে পঞ্চম বছরের পর বন্ড ভাঙাতে পারেন ক্রেতা। ফলে ৫ বছরের একটা লক-ইন পিরিয়ড থাকে এই বন্ডে। আর রিটার্ন তো সোনার দামের উপর নির্ভরশীল। সোনার দাম বাড়লে, রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়াও বার্ষিক একটি নির্দিষ্ট হারে সুদও দেওয়া হয় গোল্ড বন্ডের উপর (২.৫ শতাংশ)।


পাকা সোনার থেকে গোল্ড বন্ডে সুবিধে কী?


পাকা সোনা ঘরে বা ব্যাঙ্কে রাখা একটু অসুবিধেজনক। ব্যাঙ্কে রাখলে লকার চার্জ দিতে হয়। পাকা সোনা কিনলে দিতে হয় জিএসটি আর মেকিং চার্জ। বন্ডে (Sovereign Gold Bond) এসব কিছুই আপনাকে দিতে হবে না। আপনার দরকারে খুব সহজে বন্ড বেচে আপনার লভ্যাংশ সহ পুরো বিনিয়োগের টাকাটাই তুলে নিতে পারেন। লিকুইডিটি ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে খুব বেশি।