Multibagger Stock: কেমন লাগবে আপনি যদি এক মুহূর্তেই কোটিপতি হয়ে যান ? তাও কিছু কাজকর্ম না করেই ? এটা স্বপ্ন দেখতে ভালই লাগে, কিন্তু বাস্তবে এমনটা এককথায় অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবই সত্যি হল বেঙ্গালুরুর এই মহিলার জীবনে। বাড়ির পুরনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে এই মহিলা খুঁজে পান তাঁর দাদুর কেনা শেয়ারের নথি আর তাঁর আজকের দাম দেখেই চক্ষু চড়কগাছ সেই মহিলার। ২০০৪ সালে ৫০০টি লারসেন টার্বোর শেয়ার কিনেছিলেন এই মহিলার দাদু আর আজ ২০ বছর পর সেই শেয়ারের দাম হয়েছে ১.৭২ কোটি টাকা। দাদুর গুপ্তধনেই কোটিপতি হল নাতনি।


২০০৪ সালে কিনেছিলেন ৫০০ শেয়ার


বেঙ্গালুরুর এই মহিলা প্রিয়া শর্মার দাদু একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি স্টক মার্কেটে বাজি খেলার জন্য লারসেন অ্যান্ড টার্বো সংস্থার ৫০০ শেয়ার কিনে রেখেছিলেন। তাঁর কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান এবং সকলের অজান্তে এই শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে কোভিডের সময় যখন সব কিছু নিজের বাড়ি থেকেই করতে হচ্ছে, প্রিয়া শর্মা এই পুরনো নথি হঠাৎ করেই খুঁজে পান। আর এতেই তাঁর জীবন বদলে যায়। স্টক স্প্লিট এবং বোনাসের কারণে সেই ৫০০ শেয়ার এখন ৪৫০০ শেয়ারে পরিণত হয়েছে।


দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে


এক রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান প্রিয়া শর্মা। তবে এত পুরনো শেয়ার বিক্রি করে টাকা নেওয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। মুম্বইতে এর প্রবেট প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করতে হয়। একটি চিঠি লেখেন তিনি লারসেন টার্বোকে উদ্দেশ্য করে। সংস্থা তাঁকে বিভিন্ন ফর্মালিটিজ সেরে ফেলতে বলে। এরপরে তাঁর দাদুর প্রবেট করা উইল তিনি তৈরি করান এবং হাতে পান আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর এভাবেই আদালতে সেই উইল প্রমাণিত হয়।


প্রচুর শর্ত ছিল লারসেন টার্বো সংস্থার


যখন সেই মহিলা এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাঁর দাদুর এই শেয়ার হোল্ডিং স্টেটমেন্ট পাওয়ার জন্য, সংস্থা তাঁর থেকে একটি এফিডেভিট চায়। আর এর জন্য ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি ও সিওরিটি বন্ড চায় ডুপ্লিকেট শেয়ার দেওয়ার জন্য। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন সেই মহিলা। এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায় এই কাজ সারতে। আর তারপরেই তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয় ঐ শেয়ারের টাকা।



আরও পড়ুন: Multibagger Stock: এই ৭ FMCG স্টকে এক বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে বিনিয়োগ, ছাপিয়ে গিয়েছে সূচককেও