নয়াদিল্লি: পরপর চারদিন চাঙ্গা থাকার পর আজ ভারতের শেয়ারবাজারের সূচকের এদিন লেনদেনের শুরুতেই পতন। করোনাভাইরাসের দাপটের মধ্যে আজ শেয়ার বাজার খোলার পরই সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এদিনই দেশে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে. এই পরিস্থিতিতে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের বিষয়বস্তুতেও আমেরিকায় সুদের হারে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধির উল্লেখ করা হয়েছে। আর ফেডারেল রিজার্ভের এই উল্লেখের পর বিশ্বের শেয়ার বাজারেই তার প্রভাব দেখা দিয়েছে। এশিয়ার বাজারেও শেয়ার সূচক নিম্নমুখী। আমেরিকায় ঋণে সুদের হার বৃদ্ধির আশঙ্কার সঙ্গে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে লগ্নিকারী ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নি নিয়ে দোটানায় পড়েছেন। এর ফলেই শেয়ার সূচকে পতন দেখা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  





দেশে এদিন সকাল ৯.১৮ টা নাগাদ বিএসই সেনসেক্স ৬১২ পয়েন্ট বা ১.০২ শতাংশ পড়ে গিয়ে হয় ৫৯,৬১১। এর পাশাপাশি এনএসই-র নিফটি পড়ে ১৮১ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ। লেনদেনের শুরুতে নিফটি পড়ে পৌঁছয় ১৭,৭৪৪ পয়েন্টে।


নিফটিতে মিড ও স্মল ক্যাপ শেয়ারগুলি লাল সঙ্গেত নিয়েই লেনদেন শুরু করে। নিফটির মিডক্যাপ ১০০ ইনডেক্স ০.৮৯ শতাংশ পড়ে যায় এবং স্মল ক্যাপ শেয়ারে ০.৮৮ পতন দেখা যায়।


স্টক স্পেসিফিক ক্ষেত্রে এইচডিএফসি-র স্কক সবচেয়ে বেশি পড়েছে। তা ১.৮২ শতাংশ পড়ে হয় ২,৬২৫ টাকা। আইশার মোটর্স, এইচসিএল টেক, ইনফোসিস ও টেক মাহিন্দ্রার শেয়ার দরও পড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি যে শেয়ারগুলির দর বেড়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে সান ফার্মা, ড, রেড্ডিস, হিন্দালকো, সিপলা, ভারতী এয়ারটেল।


সামগ্রিকভাবে বিএসই-তে বাজারের প্রসার দুর্বল। কারণ, ৮৪৯ শেয়ার এগিয়েছে। অন্যদিকে, পড়েছে ১,৬৯৩ শেয়ার। বিএসই প্ল্যাটফর্মে এইচডিএফসি (এইইচিএফসি ও এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক), এইচসিএল টেক, ইনফোসিস, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক ও টেক মাহিন্দ্রার শেয়ার সবচেয়ে বেশি লোকসান করে। সেগুলি দিনের শুরুর লেনদেনে সর্বাধিক ১.৮৯ শতাংশ পড়ে যায়। লাভে চলা শেয়ারগুলির মধ্যে রয়েছে এয়ারটেল, সান ফার্মা, ড. রেড্ডিস ও টাটা স্টিল।