Stock Market Opening: সারা বিশ্বেই উদ্বেগের সঞ্চার করেছে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। আর এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যে আশঙ্কা রয়েছে, তা প্রভাব ফেলছে শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীদের মনোভাবেও। এরই ফলে সোমবার দিনের শুরুতেই বড়সড় পতন ভারতের শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স নামল ১,১৫৮ পয়েন্ট। নিফটিও সূচকও অনেকটাই প়ড়ে ১৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওমিক্রনের দাপট বেড়ে চলায় তা বাজারে ভীতির সঞ্চার করেছে। আমেরিকা ও এশিয়ার সমস্ত শেয়ার বাজারেই এদিন সূচক নিম্নমুখী।


প্রথম আধ ঘণ্টাতেই বাজারে পতন






শেয়ার বাজার খোলার আধ ঘণ্টার লেনদেনেই বিএসই সেনসেক্স ১০০০ পয়েন্টের বেশি নেমে যায়। সেনসেক্স ১০৭৬.৪৬ পয়েন্ট অর্থাৎ ১.৮৯ শতাংশ পড়ে ৫৫,৯৩৫.২৮-এর লাল সঙ্কেত সহ লেনদেন চলে। এনএসই-র সূচক নিফটিও ৩২২.৩০ পয়েন্ট অর্থাৎ ১.৯ শতাংশ পড়ে যায়। নিফটি নিম্নমুখী হয়ে পৌঁছয় ১৬.৬৬২.৯০ পয়েন্টে।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ওমিক্রন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের দাপটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এ কারণে ইউরোপে ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ কঠোর করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ফলে নতুন বছরের অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কা খাবে, এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে এশিয়ার শেয়ার বাজার পড়েছে। নিম্নমুখী অপরিশোধিত তেলের দামও। 


সংশয়ের মধ্য়ে মুড কিছুটা হাল্কা করতে বেজিং এক বছরের ঋনে সুদের হার গত ২০ মাসে এই প্রথম কমিয়েছে। যদিও অনেকের আশা ছিল যে, পাঁচ বছরের ঋণে সুদের হারও কমানো হবে। এরপরও চিনের ব্লু চিপসের শেয়ার ০.৪ শতাংশ কমে গিয়েছে। অন্যদিরে, এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের এমএসসিআই সূচক জাপানের বাইরে ০.৮ শতাংশ পড়েছে। জাপানের নিক্কেই পড়েছে ১.৭ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার বাজার পড়েছে ১.২ শতাংশ। এস অ্যান্ড পি ফিউচারের কমেছে ০.৮ ও নাসডাক ফিউচার প্রায় ১ শতাংশ পড়েছে।