Swiggy Employee: অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির এক অধস্তন কর্মীর জন্য বড় ক্ষতির মুখে সংস্থা। সুইগির বক্তব্য অনুসারে, এই সংস্থার পূর্বতন একজন কর্মী ৩৩ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন। কিছুদিন আগে থেকেই আইপিও আনার তোড়জোড় শুরু করেছিল সুইগি। ২০২৩-২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেও এই সংবাদ জানিয়েছিল সুইগি (Swiggy Fraud)। তবে সেই কর্মীর নাম ঘোষণা করেনি এখনও সুইগি। জানা গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু একজন সামান্য কর্মী কীভাবে এত বিপুল অঙ্কের জালিয়াতি করতে পারল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে সুইগির প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে।


সুইগির সহায়ক সংস্থার সঙ্গে জালিয়াতি


৩১ মার্চের অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সুইগি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বার্ষিক প্রতিবেদনে সুইগি জানিয়েছে, এই সংস্থার একজন পূর্বতন কর্মী ৩২.৬৭ কোটি টাকা জালিয়াতি (Swiggy Fraud) করেছেন। এই সংবাদ পাওয়ার পরেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জোমাটোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সুইগির জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক খবর। প্রশ্ন উঠছে সংস্থার প্রশাসনিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে।


১০ হাজার কোটিরও বড় হবে সুইগির আইপিওর আকার


আইপিও আনার আগে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির কাছে সম্প্রতি সুইগি তার আইপিওর ড্রাফট জমা করেছে। এপ্রিল মাসে যে নথি ফাইল করা হয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে কড়া গোপনীয়তা বজায় রেখেই সুইগি তার এই আইপিওর কাজকর্ম করতে চাইছে। বাজার থেকে এই আইপিওর মাধ্যমে ১০,৪১৪ কোটি টাকা তুলতে চাইছে সুইগি। এর মধ্যে ৩৭৫০ কোটি টাকার নতুন শেয়ার ইস্যু করা হবে এবং ৬৬৬৪ কোটি টাকার শেয়ার অফার ফর সেলের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।


২৩৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে সংস্থার


২০২৪ সালে সুইগির ব্যবসায় প্রায় ২৩৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। যদিও সংস্থা তার লোকসানের মাত্রা ৪৪ শতাংশ কমাতে সফল হয়েছে। ২০২৩ সালে এই সংস্থার লোকসান হয়েছিল ৪১৭৯ কোটি টাকা। তবে সংস্থার রেভিনিউ ৩৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১১,২৪৭ কোটি টাকা। এক বছর আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৮২৬৫ কোটি টাকা। সুইগির গ্রস অর্ডার ভ্যালুও ২৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪.২ বিলিয়ন। সুইগি জানিয়েছে তাদের ইনস্টামার্টের ব্যবসাও খুব দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে।


আরও পড়ুন: Airtel Recharge Plan: এয়ারটেলে দারুণ অফার, ফ্রি পাবেন ১০ জিবি ডেটা, ওটিটির সুবিধে- কতদিন থাকবে সুযোগ ?