Tata Tiago CNG: পেট্রল-ডিজেলের অগ্নিমূল্য ও ১০ লাখের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির অভাবের ফলে দেশে বেড়েই চলেছে CNG গাড়ি লঞ্চের সংখ্যা। সম্প্রতি সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে Tata Tiago ও Tigor plus। আজ আমরা আপনাকে Tata Tiago CNG সম্পর্কে জানাব।
Tata Tiago CNG review: দেশের বাজারে কারখানায় লাগানো সিএনজি কিট সহ গাড়ির সংখ্যা খুব কম। সেখানেই টাটা মোটরস তার আইসিএনজি রেঞ্জ নিয়ে এসেছে।কারখানায় লাগানো সিএনজি কিট ছাড়াও টাটা মোটরস তাদের সিএনজি গাড়িগুলিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে৷ যার ফলে বাড়ছে এই ধরেনের গাড়ি বিক্রির সংখ্যা। এতদিন ধারণা ছিল, কেবল টাকা বাঁচানোর জন্যই সিএনজি গাড়ি ব্যবহার করেন ক্রেতারা। এবার সেই ধারণা বদলাতে এই টিয়াগো সিএনজি এনেছে কোম্পানি।
Tiago CNG টিয়াগোর সব শ্রেণিতেই পাওয়া যায়। তাই আপনি এটি XE, XM, XT, XZ+ ট্রিমে পেতে পারেন৷ তাই যে কোনও পেট্রোল টিয়াগোর মালিক যে সব ফিচার পাবেন আপনি সেই সব ফিচার সিএনজি মডেলগুলিতে পাবেন। সেই অর্থে ক্লাইমেট কন্ট্রোল, কালো ও বেইজ রঙের ডুয়াল টোন ইন্টেরিয়র, প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, এলইডি ডিআরএল, স্টিয়ারিং কন্ট্রোল, রেয়ার ভিউ ক্যামেরা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারণে টিয়াগো অন্যান্য গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে গাড়িটি 'মিডনাইট প্লাম' রঙে দারুণ দেখায়।
Tata Tiago CNG review: Tiago-তে স্ট্যান্ডার্ড পেট্রল ইঞ্জিন 86bhp ও 113Nm টর্ক তৈরি করে। এই গাড়ি CNG মোডে 73bhp ও 95Nm টর্কে নেমে আসে। পেট্রল বা সিএনজির মধ্যে সেন্ট্রাল কনসোলের সুইচ পরিবর্তন করার সময় আপনি CNG মোডে গাড়ি চালু করতে পারেন। আপনি যদি সিএনজি/পেট্রল কম চালান তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। শহরের ব্যবহারের জন্য ঠিকঠাক পারফরম্যান্স দেয় টিয়াগো সিএনিজি।
এতে আপনার ক্রমাগত ডাউনশিফ্ট করার দরকার নেই। গাড়িতে পাওয়ারের অভাব মনে হবে না।এমনকী হঠাৎ ওভারটেক করা ও দ্রুত ট্রাফিকের মধ্যে গাড়ি চালানো সিএনজি মোডে সহজেই করা যায়। খাড়া রাস্তা দিয়ে চালালেও এতে শক্তির অভাব বুঝতে পারবেন না আপনি। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এটির কিছুটা বেশি bhp রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত 100 কেজি ওজন থাকা সত্ত্বেও, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স 168 মিমিতে চালাতে আপনার কোনও সমস্যা হবে না।
Tata Tiago CNG review: এই গাড়ি প্রতি কেজিতে 27 কিমি মাইলেজ দিতে সক্ষম। আপনি চাইলে এর থেকে আরও বেশি মাইলেজ বের করতে পারেন। Tiago CNG এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বুট স্পেসের অভাব। সিএনজি কিটের কারণে যা 80 লিটারে কমিয়ে আনা হয়েছে। সবথেকে বড় বিষয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়েদারুণ কাজ করেছে টাটা। কোনও কারণে জ্বালানির ঢাকনা সঠিকভাবে বন্ধ না হলে বা গাড়ির মাইক্রো সুইচ বন্ধ না করলে সরবে না গাড়ি।
Tata Tiago CNG review: গাড়ির দাম 6.09 লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। যেখানে টপ-এন্ড XZ+-এর দাম 7.52 লক্ষ টাকা। এটা স্পষ্ট যে টাটা মোটরস সিএনজি গাড়িগুলিকে আরও প্রিমিয়াম করে তুলেছে। এই গাড়ির চেহারা, বৈশিষ্ট্য, নিরাপত্তা, সিএনজির কর্মক্ষমতা সবই আপনার পছন্দ হবে। তবে বুট স্পেস না থাকার কারণে এই গাড়ি নাও নিতে পারেন অনেকেই।
Tata Tiago CNG: গাড়ির খরচ
আগের থেকে দাম বাড়বে গাড়ির। তবে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় হলেও প্রতি কিলোমিটারে কমবে খরচ। CNG থাকায় প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকারও কম হবে এই গাড়ির খরচ। অর্থাৎ পেট্রোল গাড়ির তুলনায় এটি চালানো অনেক সস্তা হবে। পেট্রলের দাম বৃদ্ধি ও ইলেকট্রিক গাড়ি দাম অনেক বেশি হওয়ায়, এখন বেশিরভাগ ক্রেতা সিএনজির দিকে ঝুঁকছেন। তবে পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখনও সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা অনেক কম। সেই কারণে পাম্পে গেলে অনেকটা সময় দাঁড়াতে হয় এই গাড়ির ক্রেতাদের। বর্তমানে,Maruti,Hyundai এর মতো মাত্র কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা ফ্যাক্টরি ফিটেড CNG গাড়ি অফার করে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল টাটাও। শীঘ্র্ই আমরা দেখতে পাব Altroz CNG ।