Tea Price: ভারতের বহু মানুষ চা খেতে খুবই পছন্দ করেন এবং ভারত জুড়েই পানীয় হিসেবে চায়ের একটা বিরাট গুরুত্ব আছে। দেশে দুটি বড় বড় সংস্থা মূলত প্যাকেজিং করা চা বিপণন করে থাকে, এর মধ্যে একটি হল হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং অন্যটি টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস। এই দুটি সংস্থাই সম্প্রতি জানিয়েছে যে তারা তাদের চায়ের দাম (Tea Prices Hike) বাড়াতে চলেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে চায়ের ভাঁড়ার ক্রমশ কমছে এবং চা উৎপাদনের খরচ ক্রমশ বেড়ে চলায় দাম বাড়তে পারে চায়ের আর এই কারণে বড় বড় সংস্থা তাদের চায়ের প্যাকেটের দাম (Tea Price) বাড়াতে পারে। খোলা বাজারেও যে চা পাওয়া যাবে, তার দামে এই কারণে প্রভাব পড়তে পারে। ফলে গ্রাহকদের চা কিনতে এবার পকেটে টান পড়তে পারে।


এই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মুখপাত্র স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে চা উৎপাদনের খরচ এই মরশুমে বেড়ে গিয়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে চায়ের কেনা দামের উপর। কমোডিটি সংলগ্ন ক্যাটাগরির অধীনে পড়ে এই চা, আর তাই সংস্থার পক্ষে এই চায়ের দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সংস্থাকে এখন নিজের মুনাফা ও গ্রাহক উভয় দিকের কথাই চিন্তা করতে হচ্ছে। তবে টাটা কনজিউমার প্রডাক্টস এখনও এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।


দুটি সংস্থার ব্যবসাতেই মুনাফার অনেকাংশই আসে চা বিক্রি থেকে


এফএমসিজি কোম্পানিগুলি যেমন টাটা কনজিউমার, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার যারা বাজারে প্যাকেজড চা বিক্রি করে থাকে, সেই চায়ের বিক্রির মাধ্যমে প্রভূত মুনাফা অর্জন করে। পরিসংখ্যান অনুসারে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মোট আয়ের ২৫ শতাংশই আসে চা বিক্রির মাধ্যমে। অন্যদিকে টাটা কনজিউমারের মোট আয়ের ৫৮ শতাংশ আসে চায়ের ব্যবসা থেকে।


চায়ের উৎপাদন কমেছে


দেশের মধ্যে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সবথেকে বেশি চা উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে পরিগণিত। জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এই দুই রাজ্যেই ব্যাপকভাবে চায়ের উৎপাদন কমে গিয়েছে। বিগত ৬ মাসে চায়ের উৎপাদন ১৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। এই কারণে চায়ের দামও বাড়ছে। টি অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে চায়ের নিলাম মূল্য ২১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। উত্তর ভারতে চায়ের দাম পৌঁছে গিয়েছে ২২৫ টাকায়, আর দক্ষিণ ভারতে এই চায়ের দাম ১১৮ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এই কারণে টাটা কনজিউমার অনেক কম পরিমাণে চা কিনছে আর তাঁর ফলে প্রভাব পড়ছে মুনাফাতেও।


দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাগুলি


টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টকে এখন ২৩ শতাংশ বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে চা কেনার জন্য আর হিন্দুস্তান ইউনিলিভারকে খরচ করতে হচ্ছে ৪৫ শতাংশ বেশি টাকা। আর তাই দুটি সংস্থাই তাদের মুনাফার অঙ্ক ঠিক রাখতে চায়ের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে চায়ের দাম ১ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়লে তা গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলবে না, কিন্তু তার বেশি বাড়লে পকেটে টান পড়বে। এমনকী চায়ের চাহিদাও প্রভাবিত হতে পারে।    


আরও পড়ুন: Reliance Bonus Share: খরচ না করেই পাবেন রিলায়েন্সের শেয়ার ? শীঘ্রই জানতে পারবেন তারিখ