কলকাতা: চাকরি ছেড়ে পড়ানো শুরু আর তারপরেই সেখান থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মোটা টাকা আয় ! যেন এক স্বপ্নের মত জীবন। এই ব্যক্তির কাহিনি শুনলে চমকে যাবেন। বাড়িতে বসেই অনলাইনে পড়িয়ে তাঁর আয় হয় ঘণ্টায় ১ হাজার ডলার অর্থাৎ যা ভারতীয় মুদ্রায় (Work From Home) প্রায় ৮৬ হাজার টাকা। আগে এই ব্যক্তি কাজ করতেন ওয়াল স্ট্রিটের একজন জনপ্রিয় ট্রেডার হিসেবে। পরে এই ফিনান্সিয়াল দুনিয়া ছেড়ে শুরু করেন পড়ানো। নিউইয়র্কের স্টিভেন মেনকিং (Earn Money Online) বুঝতে পেরেছিলেন চাকরির জন্য তার দিনের অনেক সময় চলে যেত। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন যে ফিনান্সের দুনিয়ায় কাজ করার পরে তিনি গৃহশিক্ষকের পেশাকে বেছে নেন। পরে তিনি শিক্ষা-সহায়ক কর্মী হিসেবেও কাজ করেন। আর ফিনান্সে আসার আগেও এই কাজই তিনি করতেন, ফলে পিছন ফিরে তাকালে তিনি বুঝতে পারতেন যে ছাত্রদের সহায়তা করার সময় একটি সত্যিকারের নিখাদ উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। আর তাই শিক্ষার প্রতি আবেগকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন স্টিভেন মেনকিং।

আগের চাকরির কঠোর পরিশ্রমের সময়ের থেকে এই নতুন পেশা একেবারে বিপরীতধর্মী। আর তাই স্টিভেন মেনকিংকে অনেক কম কাজের চাপ সইতে হয়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে কঠিন চাকরিগুলির মধ্যে একটিতে কাজ করে তাঁর যা আয় হত, সেই মত একই অঙ্কের আয় এই নতুন পেশা থেকেও করতে পারছেন তিনি। মেনকিং বলেন যে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে ১ হাজার ডলার প্রতি ঘণ্টা হিসেবে পারিশ্রমিক নিতেন। বাড়িতে বসে এভাবে সপ্তাহে ২০-২৫ ঘণ্টা কাজ করতেন তিনি।

এর মাধ্যমে কীভাবে তিনি কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে এবং স্বাধীন থাকতে পেরেছিলেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে মি. মেনকিং জানান যে তিনি ধীরে ধীরে নিজের কাজ সম্প্রসারিত করতে শুরু করেছিলেন। পরে নিউইয়র্ক সিটিতে অনেক এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন তিনি, উইজ্যান্টের মত অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন। শুরুতে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ৫০ থেকে ১০০ ডলার প্রতি ঘণ্টায় অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩০০ থেকে ৮৬০০ টাকা। আর তারপরে পারিশ্রমিক বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক ধরনের চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। তবে মেনকিং এও জানান যে এই পেশা বদলের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা আর্থিক ক্ষেত্রে ছিল না, বরং ছিল সামাজিক প্রত্যাশার নিরিখে মানসিক বিচ্ছিন্নতা।