Mark Mobius : মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক সমস্যায় ফেলতে পারবে না ভারতকে। কারণ ভারতের বৃদ্ধি নির্ভর করে অন্য বিষয়ের ওপর। ট্রাম্প যখন ভারতকে ডেড ইকোনমি (Dead Economy) বলে চলেছেন, তখন এই মন্তব্য করলেন আন্তর্জাতিক নামী ইনভেস্টার মার্ক মোবিয়াস (Mark Mobius)।

ঠিক কী বলেছেন মার্ক মোবিয়াসবিলিওনিয়ার বিনিয়োগকারী মার্ক মোবিয়াস বৃহস্পতিবার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রভাব ভারতের ওপর কম পড়বে। কারণ ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে, চিনের মতো এই দেশ রফতানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নয়। উদীয়মান বাজারের (EMs) জন্য Mobius EM Opportunities Fund চালায় মার্ক মোবিয়াস। IANS-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন-ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় এই শুল্কগুলি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

কোন কোন খাত এখনও নিরাপদভারতের ওষুধ, স্মার্টফোন, সেমিকন্ডাক্টর ও শক্তির মতো কিছু ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে জড়িত ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের চালান উচ্চ শুল্ক থেকে এখনও নিরাপদ। কারণ এগুলি এখনও শুল্কের অব্যাহতি তালিকার মধ্যেই রয়েছে। আগামী ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন শুল্কের তালিকায় ট্রাম্প এখনও এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেননি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের রফতানি বাজারতাছাড়া, ভারত ২০২৫ অর্থবছরে ১০.৫ বিলিয়ন ডলার এবং ১৪.৬ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য (বেশিরভাগ স্মার্টফোন) রপ্তানি করেছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার মোট বাইরের চালানের ২৯ শতাংশ। ২০২৫ অর্থবছরে ৪.০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পেট্রোলিয়াম রপ্তানিও বর্তমানে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক থেকে সুরক্ষিত, কারণ জ্বালানিও অব্যাহতির তালিকায় রয়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানি ছিল ৮৬.৫১ বিলিয়ন ডলার।

আরও কী বলেছেন মোবিয়াসমোবিয়াসের মতে, ভারত যে ধরনের জিডিপি বৃদ্ধি দেখাচ্ছে, তা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে দেশকে সাহায্য করবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও দেশটি ৬-৭ শতাংশ বৃদ্ধি দেখছে, যা তার অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতা দেখায়। এটি ভারতকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে সাহায্য করবে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই, ভারত বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, মোট জিডিপির দিক থেকে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও জার্মানির থেকে কেবল পিছিয়ে রয়েছে।