নিউইয়র্ক : ট্যুইটারে নতুন ট্যুইস্ট! মাইক্রো ব্লগিং সংস্থার ভবিষ্যৎ ঠিক কোন পথে তা নিয়ে ফের নতুন ধাঁধা। প্রথমে চোখ-ধাঁধানো অফারের পর প্রকাশ্যে চলে আসা রূপরেখা নিয়ে মতভেদের জেরে ট্যুইটার (Twitter) কেনার কথা বলেও সরে দাঁড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু তিনি হাত গুটিয়ে নেওয়ার কথা বললেও এবার আবার তাঁর অফার ছাড়তে নারাজ ট্যুইট-সংসার।


কোন পথে ট্যুইটার


ট্যুইটারের স্টেকহোল্ডারদের (Twitter Stake Holder) আভ্যন্তরীণ ভোটাভুটির ফলাফল সামনে এসেছে। যেখানে প্রকাশ, মাস্কের ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অফারে সায় রয়েছে অধিকাংশ স্টেকহোল্ডারেই। আর যার পরই নতুন টুইস্ট ঘিরে জল্পনা। তাহলে কি এবার ট্যুইটারের মালিকানা হস্তান্তরের লড়াই গড়াচ্ছে আদালতের কোর্টে ? ট্যুইটারের পরিচালন সমিতি কি মেনে নেবে স্টেকহোল্ডারদের মতামত ? নাকি লাস্ট ল্যাপে ফের চমকপ্রদ টার্ন নিয়ে নতুন করে এন্ট্রি হগবে ইলন মাস্কের। এসব জল্পনার পারদ নিয়েই টেক-দুনিয়ায় আপাতত শোরগোল।  


কী কারণে সরে যান মাস্ক ?


ট্যুইটারের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে প্রথম থেকেই একরোখা মনোভাব নিয়েছিলেন মাস্ক। কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ট্যুইটার বোর্ডের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। মাইক্রো ব্লগিং সাইটের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের পুরো হিসেব জানতে চেয়েছিলেন এই ধনকুবের। যদিও কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়, মাস্ক যা ভাবছেন তেমনটা নয়। ট্যুইটারে বিপুল পরিমাণ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নেই। যদিও কোম্পানির এই বক্তব্য শুনে উল্টে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি টেসলার প্রধান। শোনা যায়, সেই কারণেই ট্যুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটেন মাস্ক। 


মাস্কের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ?


চুক্তি করেও ডিল বাতিল করায় এবার ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে ট্যুইটার। কোম্পানির চোয়রম্যান ব্রেট টেইর জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে আইনি পথে হাঁটবে ট্যুইটার। মাস্কের সঙ্গে যে টাকায় চুক্তি হয়েছিল তা সম্পন্ন করবে বোর্ড। সেই বিষয়ে চ্যানসেরির কোর্টে আবেদন জানানো হবে। ট্যুইটারের সঙ্গে মাস্কের এই চুক্তির সূত্রপাত এপ্রিলে। যেখানে ট্যুইটারের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন ইলন। ট্যুইটারের প্রতি শেয়ার ৫৪.২০ ডলারে কেনেন এই ধনকুবের। রাতারাতি বেড়ে যায় ট্যুইটারের শেয়ার প্রাইস। বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনায় মাস্ককে কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের পদ প্রস্তাব করে ট্যুইটার। যদিও সেই পথে না হেঁটে পাল্টা ট্যুইটার কেনার চুক্তি করেন টেসলার প্রধান। এখন সেই চুক্তি বিশ বাঁও জলে। 


এবার ট্যুইটারের স্টেকহোল্ডারের চুক্তির পক্ষেই মত হওয়াতে মাইক্রো ব্লগিং সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হল নতুন জল্পনা।


আরও পড়ুন- দাম বেড়েছে খাদ্য়শস্যের, ফের ঊর্ধ্বগামী খুচরো মূল্যবৃদ্ধি, বাংলার কী হাল?