Twitter Deal: মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার এলন মাস্কের হাতে যেতেই বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। খোদ ট্যুইটারে 'আস্থা রাখতে পারছেন না' সিইও পরাগ আগরওয়াল। রিপোর্ট বলছে, মাস্কের মালিকানায় ট্যুইটারের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখছেন ভারতীয় বশোদ্ভূত এই টেকি।


Parag Agrawal On Elon Musk: কী বলেছেন ট্যুইটারের সিইও ?
রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, ট্যুইটারের মালিকানা মাস্কের হাতে যেতেই সোমবার কোম্পানির কর্মীদের সঙ্গে টাউন হলে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ট্যুইটারের সিইও বলেন, "একবার চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেলে আমরা জানি না যে প্ল্যাটফর্মটি কোন দিকে যাবে।" শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই ট্যুইটারের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে দেখা করবেন মাস্ক। সেখানে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে কোম্পানির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি। সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কিনেছেন মাস্ক।


Elon Musk buys Twitter: পরাগকে নিয়ে জোর জল্পনা !
এদিকে, মাস্কের মালিকানায় ট্যুইটার যেতেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ট্যুইটারে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সিইও পরাগ আগরওয়ালের ভবিষ্যৎ। রিসার্চ ফার্ম ইকুইলারের মতে, এই পরিস্থিতিতে পরাগ আগরওয়ালকে ট্যুইটারের দায়িত্ব থেকে সরালে আনুমানিক $42 মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নিয়োগের ১২ মাসের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে পরাগ আগরওয়ালকে। 2021 সালের নভেম্বরে জ্যাক ডরসির কাছ থেকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নেন আগরওয়াল। 


Twitter Elon Musk deal: কর্মী ছাঁটাই নিয়ে কী বলছেন মাস্ক ?
ইতিমধ্যেই ট্যুইটারের ব্যাবস্থাপক কমিটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন মাস্ক। এলন জানিয়ে দিয়েছেন , ট্যুইটারের ম্যানেজমেন্টের ওপর তাঁর কোনও আস্থা নেই। শোনা যাচ্ছে, পরাগ আগরওয়ালের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না ট্যুইটারের ম্যানেজিং বোর্ড। এখনও পর্যন্ত মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মকে সেভাবে লাভের মুখ দেখাতে পারছেন না আগরওয়াল। সেই কারণেই ট্যুইটারএলন মাস্কের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অফ ডিরেক্টরস।


Elon Musk buys Twitter: কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্ক ?
ট্যুইটার কেনার আগেই কোম্পানির বিপুল অঙ্কের শেয়ার কিনেছিলেন এলন মাস্ক। ৪ এপ্রিল প্রকাশ্যে এসেছিল সেই খবর। সেবারও ওই খবর সামনে আসতেই রকেটগতিতে বেড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটির শেয়ারের দর।  এলন মাস্ক (Elon Musk) বলেছেন, 'টুইটারে আমি বিনিয়োগ করেছি কারণ বিশ্বাস করি বিশ্বজুড়ে বাক-স্বাধীনতার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জায়গা করে নেবে টুইটার। আমি মনে করি বাক-স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়।' তিনি আরও বলেছেন, বিনিয়োগের পর থেকে আমি বুঝেছি এখন যা পরিস্থিতি তাতে সংস্থায় টিকে থাকতে পারবে না। টুইটারকে বেসরকারি সংস্থাতে পরিবর্তিত করতে হবে।' 


আরও পড়ুন : Public Provident Fund: বন্ধ রেখেছেন পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ? বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন আপনি