Twitter Official Lebel: ট্যুইটারে 'ব্লু টিক' (Twitter Blue Tick) টাকা দিয়ে কেনা যাবে। অর্থাৎ ট্যুইটারের ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন (Twitter Blue Tick Verification Sunscription) যে কেউ চাইলেই টাকা দিয়ে (মাসিক খরচ ৮ ডলার) কিনতে পারবেন। এবার আরও একটি নতুন ফিচার লঞ্চ করা হবে ট্যুইটারে। আপাতত ঘোষণা হয়েছে এই ফিচার। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি অ্যাকাউন্ট এবং নির্দিষ্ট কিছু বিজনেস অ্যাকাউন্টের জন্য অফিশিয়াল লেবেল (Official Lebel)চালু হবে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে। তবে এই 'অফিশিয়াল লেবেল' টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের কথায় এই নতুন লেবেল Twitter Blue Subscriber (Blue Checkmarks) এবং ভেরিফায়েড অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট যেমন সরকারি অ্যাকাউন্ট এবং ট্যুইটারের মূল পেজের মধ্যে ইউজারদের পার্থক্য করতে সাহায্য করবে। শোনা গিয়েছে, ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট কিছু দেশে এই 'অফিশিয়াল লেবেল' চালু করবেন ট্যুইটার। তবে কোন কোন দেশে প্রাথমিক ভাবে এই ফিচার চালু হবে, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী দিনে আদৌ সব দেশে ট্যুইটারের এই ফিচার চালু হবে কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়।


গত ২৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে ইলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তারপর থেকেই একের পর পরিবর্তন হয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। এমনকি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও। ট্যুইটারের আগের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে নতুন সিইও নিজেই হয়েছেন ইলন মাস্ক। বোর্ড অফ ডিরেক্টদের সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও চাকরি গিয়েছে অনেক কর্মীর। শুধু তাই নয় ট্যুইটারের নিয়ম কানুনেও আগামী দিনে একাধিক বদল আসবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ইলন মাস্ক। এখন প্রশ্ন হল স্পেস এক্স কিংবা টেসলার মতো ইলন মাস্ক ট্যুইটারও কি সফল ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন? মার্কিন ধনকুবের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্ন ঘুরছে সকলের মনে। 


মাসে ৮ ডলারের বিনিময়ে যে কেউ ট্যুইটারের ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত ট্যুইটারে ব্লু টিক পাওয়া যেত বিনামূল্যে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ইউজারকে নিজের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হত ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে। তার ভিত্তিতে ভেরিফিকেশন করে তারপর ইউজারকে ব্লু টিকের জন্য অনুমোদন দিত ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে এবার সবাই এই ব্লু টিক কিনতে পারার কথা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্যুইটারের ব্লু টিক ভেরিফিকেশনের অথেনটিফিকেশন নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনে।