সিডনি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) দুরন্ত ছন্দে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। বুধবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধেও কি কামাল করবেন ট্রেন্ট বোল্ট-টিম সাউদিরা?


নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের গলায় যেন প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি। ম্যাচের আগের দিন কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson) বলেছেন, 'ওরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। উইকেট নেওয়া হোক বা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, বিশ্বমঞ্চে সাফল্য অর্জন করা, সবেতেই ওরা পারদর্শী। এই টুর্নামেন্টেও অনবদ্য ছন্দে রয়েছে। সিডনিতে নতুন প্রতিপক্ষ আর এখানেও আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।'


চলতি টুর্নামেন্টে দুরন্ত ছন্দে কিউয়ি বোলাররা। এখনও পর্যন্ত পাঁচ বোলারকে বিশ্বকাপে ব্যবহার করেছে নিউজিল্যান্ড। তার মধ্যে তিনজন ওভার প্রতি সাত রানের কম খরচ করেছেন। টিম সাউদি খরচ করেছেন ওভার প্রতি ৬.৩৫ রান। মিচেল স্যান্টনার ওভার প্রতি ৬.৪৩ রান খরচ করেছেন। ইশ সোধি খরচ করেছেন ৬.৭৮ রান। একমাত্র ট্রেন্ট বোল্ট ওভার প্রতি ৭.১৮ রান ও লকি ফার্গুসন ওভার প্রতি ৮.১৩ রান করে খরচ করেছেন। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখে সকলেই বেশ কৃপণ বোলিং করেছেন।

















পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বাবর আজম ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন। মহম্মদ রিজওয়ানও নিজের পরিচিত ছন্দে নেই। তাই কিউয়ি বোলারদের বিরুদ্ধে অগ্নিপরাক্ষা দিতে হবে পাক ব্যাটারদের। ঘুরিয়ে হলেও, সম্ভবত সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন উইলিয়ামসন।


একদল প্রথম ম্যাচেই হারিয়েছিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। গ্রুপ ওয়ানের শীর্ষে থেকে পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। অন্য দল হেরে গিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে। এক সময় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। সেখান থেকে অলৌকিকভাবে ঘুরে যায় ভাগ্য। ডাচদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যেতেই শেষ চারের টিকিট কনফার্ম হয়।


বুধবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি সেই নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। যে ম্যাচকে অনেকে ১৯৯২ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের রিম্যাচ বলছেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। সেবারও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছিল পাকিস্তানকে (Pak vs NZ)। কিউয়িদের হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান, জিতে নিয়েছিল ট্রফিও।


আরও পড়ুন: নেটে বিধ্বংসী মেজাজে কোহলি, ব্যাটের শব্দ শুনে বাহবা দিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা