নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটে তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ হয়নি। আর এরপরই ভারতের বৃহত্তম সিগারেট উৎপাদনকারী সংস্থা আইটিসি-র শেয়ার এক লাফে ৬.৫ শতাংশ বেড়ে যায়। বাজেট ঘোষণার পর অন্যান্য সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানিরও শেয়ার মূল্য বেড়ে যায়।
ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডেন টোবাকো ও গডফ্রে ফিলিপসের মতো কোম্পানির শেয়ার দরও যথাক্রমে ২.০৬ শতাংশ, ৭.৯৪ শতাংশ ও ০.৮৩ শতাংশ বাড়ে। তামাকজাত পণ্যের ওপরও কর বেড়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এক্ষেত্রে ২০২১-এর বাজেটে তামাকজাত পণ্যে করের পরিমাণ নাও বাড়ানো হয়ে থাকতে পারে।
প্রত্যেক বছরের মতো এবারও বাজেটের আগেই তামাক ও অ্যালকোহলের মতো ক্ষতিকারক পণ্যে কর বৃদ্ধি প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, করোনাভাইরাস জনিত অতিমারীর কারণে সরকারের রাজস্ব খাতে টান পড়েছে। কিন্তু এবারের বাজেটে কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেস তামাকজাত পণ্য নয়, অ্যালকোহলের ক্ষেত্রে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাজেটের আগে আইটিসি ও অন্যান্য সিগারেট প্রস্তুতকারী
কোম্পানির স্টক খুবই দুর্বল ছিল। কারণ, লগ্নিকারীদের অধিকাংশই তা বিক্রয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এখন মনে করা হচ্ছে, এবারের বাজেটে স্বস্তি পেল সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি।
ব্রোকারেজ ফার্ম এডেলউইস সিকিউরিটিজের বক্তব্য অনুয়ায়ী, ২০২০-র বাজেটে কর বেশ চড়া চেপেছিল। এজন্য এবার তামাকজাত পণ্য ও সিগারেটে কর বৃদ্ধির সম্ভবনা ছিল কম।


দ্বিতীয় মোদি সরকারের দ্বিতীয় বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য মিলল না কোনও তাৎক্ষণিক সুরাহা। তবে দীর্ঘমেয়াদি সুফলের আশায় রিকাঠামোক্ষেত্রে বিপুল বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনা-আবহে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ল প্রায় ১৩৭ শতাংশ। করোনার জেরে আয় কমেছে, আবার জিনিসপত্রের চড়া দামের জেরে খরচ বেড়েছে!

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ চাকুরিজীবীরা আয়কর ছাড়ের আশা করলেও, কোনও সুরাহা দিল না কেন্দ্রীয় সরকার।তবে, করোনায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার দেশবাসীর মৃত্যুর পর পর, স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা।মোদির ড্রিম প্রজেক্ট স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা।দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে, বিনিয়োগ টানতে ও কর্মসংস্থান তৈরির জন্য জাতীয় সড়ক তৈরিতে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে ।রেলের বিভিন্ন প্রকল্পেরর জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা।পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, কৃষিতে বিপুল বরাদ্দের ফলে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মেলার সম্ভাবনা রয়েছে ঠিকই। তবে মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও সুরাহার খবর এই বাজেটে নেই।

১৯৫২ সালের পর এই প্রথম এমন বাজেট, যে সময় দেশে ঋণাত্মক বৃদ্ধি বা মন্দা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে বাজেটের দীর্ঘমেয়াদি দাওয়াইয়ে সাধারণ মানুষ কী ফল পাবেন, সেই উত্তর অবশ্য দেবে সময়।