Baba Ramdev :  বদলে যাবে গোশালা সম্পর্কে চিন্তাধারা, উত্তরপ্রদেশে গোশালা হবে গ্রামীণ শিল্পকেন্দ্র। এই নিয়ে যোগী সরকারে সঙ্গে হাত মেলাল পতঞ্জলি। উত্তরপ্রদেশ গো সেবা আয়োগ গরুর সুরক্ষা, পঞ্চগব্য পণ্য, জৈব চাষ এবং বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রচারের জন্য পতঞ্জলি যোগপীঠের সঙ্গে এই গাঁটছড়া বেঁধেছে। 

উত্তরপ্রদেশে কোন-কোন জেলায় হবে এই কেন্দ্র  এই গাঁটছাড়া অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলার প্রতিটিতে দুই থেকে দশটি গো-আশ্রয়স্থলকে মডেল কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি কেবল গবাদি পশুদের সুরক্ষাই নয়, বরং গ্রামের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইঞ্জিন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাঁটছড়ার বিষয়ে কী বলেছেন সরকারি মুখপাত্রএই বিষয়ে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, “হরিদ্বারে গো সেবা আয়োগের চেয়ারম্যান শ্যাম বিহারী গুপ্ত, যোগগুরু বাবা রামদেব এবং পতঞ্জলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণের মধ্যে আলোচনার পর এই অংশীদারিত্ব শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশ্বাস করেন- গরু গ্রামীণ অগ্রগতির ভিত্তি। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পতঞ্জলি যোগপীঠ রাজ্যের উদ্যোগে পূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

গোশালা থেকে গ্রামীণ শিল্পএই পরিকল্পনাটি কেবল গরুর আশ্রয়স্থল হিসেবে বা গোশালার প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কাজ করবে। এই কেন্দ্রগুলি পঞ্চগব্য পণ্য উৎপাদন করবে, বায়োগ্যাস উৎপাদন করবে এবং সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে কাজ করবে। মডেল গোশালাগুলিতে খোলা শেড ও সুরক্ষা ব্যবস্থার মতো কাঠামোগত সুবিধা থাকবে। এগুলি নিশ্চিত করবে- গবাদি পশুরা যাতে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারবে।

কর্মসংস্থান ও জীবিকাগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই পরিবর্তন গ্রামীণ অঞ্চলে জীবিকার সুযোগও তৈরি করবে। গ্রামবাসীরা গোমূত্র সংগ্রহ ও পণ্য বিক্রয়ে অংশগ্রহণ করবে। সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে ও তৃণমূল স্তরে আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ৫০ শতাংশ কমিশন মডেল চালু করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণদক্ষতা ও গুণমান নিশ্চিত করার জন্য পতঞ্জলি যোগপীঠ প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও মান নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। এই কেন্দ্রগুলিতে জিও-ফেন্সিং, গবাদি পশুর ট্যাগিং, ফটো ম্যাপিং ও পশুখাদ্য ট্র্যাকিংয়ের মতো উন্নত প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই কর্মসূচিতে কৃষকদের নিম, গোমূত্র ও ভার্মিকম্পোস্টের মতো পরিবেশবান্ধব সম্পদ সরবরাহও করা হবে। এই গাঁটছড়া কৃষিকাজের খরচ কমাবে, মাটির উর্বরতা উন্নত করবে ও দীর্ঘমেয়াদে কৃষি উন্নয়নে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 গ্রামীণ অর্থনীতির দিকে বড় পদক্ষেপপতঞ্জলির সঙ্গে ইউপি সরকারের এই গাঁটছড়া নিয়ে আধিকারিকরা বলেছেন, এই উদ্যোগ কেবল গরুকে রক্ষা করে না, বরং ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির মিশ্রণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে। পতঞ্জলির সহায়তায় উত্তরপ্রদেশ সরকার গো-শালাগুলিকে স্বনির্ভর গ্রামীণ শিল্প কেন্দ্র হিসাবে স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়েছে। যা পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও স্থানীয় সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।