Velomobile on Bangalore roads: এ একেবারে কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো। সাতসকালে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ভিন গ্রহের যান ! নজরে যেতেই গন্তব্য ভুলে চালকের দিকে মাথা ঘোরালো পথচারারী। বেরিয়ে এল আসল সত্য।
Velomobile on Bangalore roads: গাড়ি না অন্য কিছু ?
পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে অসহায় অবস্থা দেশবাসীর। অগত্যা পকেট বাঁচাতে নিত্যদিন নতুন যানের সন্ধানে নামছে মানুষ। কেউ ব্যাটারিচালিত বাইক তো কেউ বেছে নিয়েছে সাইকেল। তবে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় দেখা গেল এক অদ্ভুত যান। প্রথম দেখায় মনে হবে, স্কাই-ফাই সিনেমার কোনও গাড়ি। ভিন গ্রহ থেকে সোজা এসে পড়েছে রাস্তায়। যদিও চালকের মুখ দেখলেই ভাঙবে ভাবনা। বুঝতে পারবেন এও এক নতুন গাড়ি।
Velomobile on Bangalore roads: জ্বালানি বাঁচাতে বিদেশি গাড়ি ?
নাম ভেরোমোবাইল। গাড়ি বা বাইক নয়, আসলে এই যানটি একটি বাইসাইকেল। ইউরোপের রাস্তায় দেখা যায় এই সাইকেল। প্রশ্ন জাগে, ভারতের রাস্তায় কী করছে এই গাড়ি ? ভেলোমোবাইল আসলে একটি তিন চাকার সাইকেল গাড়ি। যার বাইরে একটি সুরক্ষা কভার থাকে। কভারটি একটি অ্যারোডাইনামিক পদ্ধতিতে ডিজাইন করা হয়। যার ফলে এই বাইকে রাইডার সিটে হেলান দিয়ে অনায়াসে বাইকের গতি বাড়াতে কমাতে পারে। যারা ট্র্যাফিকের মধ্যে আটকে না গিয়ে অফিসে যাতায়াত করতে চান, তাদের জন্য এটি আসলে একটি নিখুঁত সঙ্গী। এই বাইকে বাইরের সুরক্ষা কভার বা শেল আবহাওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। ভেলোমোবাইলের তিনটি চাকা আসলে অটোর মতো বাইকে ভারসাম্য বাজায় রাখে। এটি শক্তপোক্ত তথা মজবুত রাখার জন্য স্টোরেজ স্পেস সহ পাওয়া যায়। তবে ভারতে এই ধরনের বাইক প্রস্তুতকারক কোনও কোম্পানি নেই।
Velomobile on Bangalore roads: কত দাম এই সাইকেল কারের ?
ছবির তিন চাকার সাইকেল গাড়িটি আসলে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক একটি বাইক স্টোর বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। বাইক স্টোর Cadence90 আসলে ভারতে এই সাইকেল কারের অফিশিয়াল সাপ্লায়ার। এই সাইকেল কারটি ভারতে তৈরি হয় না। এটি একটি রোমানিয়ান কোম্পানি ভেলোমোবাইল ওয়ার্ল্ড তৈরি করে। সাইকেল কারা জেনে অনেকেই হয়তো ভাবছেন এই তিনচাকাগাড়ি অনেকটাই সস্তা হবে। এই তিন চাকার সাইকেল কারের বেস ভ্যারিয়েন্টের দাম ভারতে প্রায় 14 লক্ষ টাকা। বেঙ্গালুরুতে যে মডেলটি দেখা গেছে তার দাম প্রায় 18 লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র এই পণ্যের কাস্টমস ও শিপিং খরচ 1.5 লক্ষ টাকা।
Velomobile on Bangalore roads: গতি কত এই সাইকেল -কারের ?
যেহেতু এটি একটি ব্যয়বহুল পণ্য, তাই গ্রাহকদের কাস্টমাইজেশনের বিকল্প দেয় কোম্পানি। অর্ডার করে এই গাড়ি বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা যায়। সেই ক্ষেত্রে সাইকেল-কারের কাস্টম-মেড বডি শেল একে অন্যের থেকে আলাদা হতে পারে। কেবল বাইকটির ওজন প্রায় 25 কিলোগ্রাম। শেল সহ পুরো প্যাকেজটি প্রায় 90 কিলোগ্রাম। তা সত্ত্বেও রাস্তায় পিছনের সিটে হেলান দিয়ে ভাল গতিতে চালানো যায় এই গাড়ি। শেলটির এরোডাইনামিক ডিজাইনের কারণে খারাপ রাস্তায়ও 55-65 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে যেতে পারে।
আরও পড়ুন : Porsche Taycan Electric: ইলেকট্রিক কার হলেও সবার থেকে আলাদা, পোর্সে আনল এই গাড়ি