Employee News:  বেশ কিছুদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে পরপর ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স, কাজের চাপ ইত্যাদি নিয়ে এবং চাকরিতে প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। একদিকে আনা সেবাস্টিয়ান পেরাইলের মত কর্মী আছেন যারা কাজের অত্যধিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ঢলে পরেছেন মৃত্যুর কোলে। আর অন্যদিকে এমন কিছু কর্মীর কথা সমাজমাধ্যমে (Microsoft Employee0 উঠে আসছে যারা সময়ে কাজ ঠিকমত না করেই মোটা অঙ্কের বেতন পাচ্ছেন। চাকরির নামে শুধুমাত্র সময় কাটাচ্ছেন অফিসে এসে। সম্প্রতি একজন কর্মীর অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে (Microsoft News) আসে যেখানে তিনি অফিসে সারা দিন কয়েকটা মিটিং করেন, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি, তারপরেও মাসে মাসে লক্ষ টাকার বেতন নেন।


মাইক্রোসফট সংস্থার এক কর্মীর কাছ থেকেও একই অভিজ্ঞতার কথা জানা গেল। সমাজমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে সপ্তাহে মাত্র ২০ ঘণ্টা কাজ করতেন তিনি, বাকি সময় অফিসে বসে গেম খেলেই কাটিয়ে দিতেন। ৩ লক্ষ ডলার বেতন পান তিনি অর্থাৎ যা ভারতীয় মুদ্রায় ২.৫ কোটি টাকা।


দ্রুত ভাইরাল হয়েছে এই পোস্ট


এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই পোস্টে ব্যবহারকারী লিখেছেন যে তার বন্ধু যিনি মাইক্রোসফট সংস্থায় চাকরি করেন, তিনি সপ্তাহে ১৫-২০ ঘন্টা কাজ করেন মাত্র আর তারপরে তিনি বাকি সময় অফিসে বসে গেম খেলেই কাটিয়ে দেন। এরপরেও মাইক্রোসফট সংস্থা তাঁকে ৩ লক্ষ ডলার বেতন দেন। এই পোস্ট সমাজমাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ২০ লক্ষ ভিউ আসে এই পোস্টে। এই পোস্টে মানুষ নানাবিধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ এই কর্মীর পক্ষে কথা বলেছেন এবং কেউ এই কাজের সংস্কৃতির বিপক্ষে স্বর তুলেছেন।


কাজের সময় নয়, কাজের ফলাফলের উপর জোর


একজন ব্যবহারকারী এই বিষয়ে লিখেছেন, বলা ভাল জানতে চেয়েছেন যে ঠিক কী ধরনের যোগ্যতা এজন্য দরকার হয়। এমন কোনও পদ কি এখনও খালি আছে ? তিনি সেখানে কাজ করতে চান এবং এটাই নাকি তাঁর স্বপ্নের চাকরি। কেউ কেউ আবার লিখেছেন যে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বদলে ২০ ঘণ্টা কাজ করাই শ্রেয়। কীভাবে কাজ করা হচ্ছে, তার বদলে কী কাজ করা হচ্ছে এবং তার ফলাফল কী আসছে এর উপরেই জোর দেওয়া উচিত। একজন লিখেছেন যে কোনও সিইও এমন কর্মীদের পছন্দ করেন যারা ভাল ফল এনে দেয়, এক্ষেত্রে কতক্ষণ কাজ করেছে সেই কর্মী তা কোনও প্রভাব ফেলে না।


আরও পড়ুন: Elon Musk: সঙ্কটে এলন মাস্কের 'এক্স', বাজারমূল্য কমল ৭৫ শতাংশ; কী পদক্ষেপ করবেন মাস্ক ?