নয়া দিল্লি: ঋণে জর্জরিত টেলিকম অপারেটর ভোডাফোন আইডিয়া। শুক্রবার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখে চিন্তায় গ্রাহকরাও। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট বলছে ভোডাফোন-আইডিয়ার এখনও পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ২৩০.৯ কোটি টাকা। এক বছর আগের একই সময়ে এই সংস্থা প্রায় ৪ হাজার ৫৩২.১ কোটি টাকা লোকসান করেছিল।


২০২০-২১ সালের একই ত্রৈমাসিকে ১০ হাজার ৮৯৪.১কোটি টাকা থেকে একত্রিত রাজস্ব ১০.৮ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৭১৭.৩ কোটি টাকা হয়েছে। ভোডাফোন-আইডিয়া কোম্পানি তাঁদের রিচার্জ হার বৃদ্ধি করেছিল অনেকটাই। এর কারণে গ্রাহক সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। এক বছর আগে ২৬.৯৮ কোটি থেকে ২৪.৭২ কোটিতে নেমে এসেছে। শুল্ক বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ২০২১-২১ সালের একই ত্রৈমাসিকে ১২১ টাকার তুলনায় এর ব্যবহারকারীদের প্রতি গড় আয় (ARPU) প্রায় ৫ শতাংশ কমে ১১৫ টাকা হয়েছে।


সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সরকারি সাহায্য না-পেলে আর্থিক দশা এমন বেহাল হবে যে, ব্যবসা গোটাবে ভোডাফোন আইডিয়া। ইতিমধ্যেই শেয়ার দর নেমেছে অনেকটাই। সরকারি ত্রাণ হিসেবে স্পেকট্রাম এবং অন্যান্য খাতে বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়া চার বছর স্থগিত রাখার মতো সুবিধা নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে ভিআই। অংশীদারি বেচার খবরে তাই বিএসএই-তে ১১.৮০ টাকায় নেমেছে শেয়ারের দাম।


এয়ারটেল-জিও'র পথে হেঁটে প্রিপেড পরিষেবার মাসুল বাড়িয়েছে ভোডাফোনও। বিভিন্ন স্তরে মাসুল ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল তাঁরা। ন্যূনতম প্রিপেড প্ল্যানটির মাসুল পড়ছে ৯৯ টাকা। সংস্থা সূত্রের খবর, এত দিন তা ছিল ৭৯ টাকা। ১৪৯ প্রিপেড পরিষেবা বেড়ে ১৭৯ টাকা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের হিসেব অনুযায়ীই মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলিকে বকেয়া স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি মিটিয়ে দিতে হবে। এর ফলে আয় বাড়ানোর পথ খুঁজতেই মাসুল বৃদ্ধির পথে হাঁটে সব সংস্থাই।