Binod Chaudhary Net Worth: নেপালের একমাত্র ধনকুবের তিনিই। তাঁর নামেই রয়েছে ১৪০টি সংস্থা, বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর এই সংস্থাগুলি। সিজি কর্প গ্লোবাল বা চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা একাধারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিনোদ চৌধুরীকে চেনেন ? ব্যাঙ্কিং, হসপিটালিটি, কনজিউমার গুডস, এনার্জি, এডুকেশন, হেলথকেয়ার কোন সেক্টরে তাঁর প্রবেশ ঘটেনি ! দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসায়িক মহলে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের মালিক বিনোদ চৌধুরী। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড 'ওয়াই ওয়াই নুডলস' ভারত সহ অন্য আরও কিছু দেশে তুমুল জনপ্রিয়।
বিনোদ চৌধুরীর সংস্থা মোট ১৪৩টি হোটেল পরিচালনা করে, ভারতের তাজ হোটেল চেনের সঙ্গে যৌথভাবে ৫ তারা হোটেলও রয়েছে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি। কীভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন বিনোদ চৌধুরী ? কাঠমাণ্ডুতে এক ব্যবসায়িক মাড়ওয়াড়ি পরিবারে জন্ম হয়েছিল বিনোদ চৌধুরীর। তাঁর ঠাকুরদাদা একসময় রাজস্থান থেকে নেপালে গিয়ে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। বিনোদ চৌধুরীর বাবাই প্রথম গড়ে তোলেন নেপালের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। যদিও তাদের পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরতে হত বিনোদকেই, তবু তিনি উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে খামতি রাখেননি।
১৯৭৩ সালে বিনোদ চৌধুরী নেপালের সবথেকে জনপ্রিয় ডিস্কো উদ্বোধন করেন এবং এরপরেই ১৯৮৪ সালে নেপালে চালু করেন ওয়াই ওয়াই নুডলস ব্র্যান্ডটি। সুজুকি ও প্যানাসনিকের সঙ্গেও পার্টনারশিপে ব্যবসা করেছেন তিনি এরই মধ্যে। ১৯৯৫ সালে দুবাই সরকারের কাছ থেকে তিনি নাবিল ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জন করেন। ২০২৩ সালের হিসেবে ফোর্বসের সূত্র অনুসারে বিনোদ চৌধুরীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪,৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
যদিও ভারতের ধনকুবেরদের সঙ্গে তুলনায় বিনোদ চৌধুরীর মোট সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই কম, তবু তিনি এখনো নেপালের একমাত্র ধনকুবের। বলিউডের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বিনোদের, তাঁর চোখে অন্তম সেরা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। অন্যদিকে ব্যবসায়িক জগতে জেআরডি টাটার থেকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। আর তাঁর অন্যতম আরেক অনুপ্রেরণার নাম নেলসন ম্যান্ডেলা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নেপালের রাজ্যসভার সদস্যপদ রয়েছে বিনোদ চৌধুরীর। এখন ৬৯ বছর বয়সে এসে বিনোদের সমস্ত ব্যবসার দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তাঁর তিন পুত্র নির্বাণ, রাহুল এবং বরুণ।