নয়াদিল্লি: মুদ্রাস্ফীতির নাগপাশ থেকে সাধারণ মানুষের স্বস্তি মেলার কোনও দিশাই দেখা যাচ্ছে না। নভেম্বর মাসে পাইকারি মূল্য সূচকাঙ্ক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার ( WPI based Inflation) আগের মাসের তুলনাতেও বাড়ল। নভেম্বরে (November) পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ১৪.২৩ শতাংশ। গত অক্টোবর (October) মাসে এই হার ছিল ১২.৫৪ শতাংশ। অন্যদিকে, এক বছর আগে পাইকারি মূল্য সূচকাঙ্ক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২.২৯ শতাংশ। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারের এই পরিসংখ্যান সবচেয়ে চড়া। ১৯৯১-কে এই মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৩.৮৭ শতাংশ। গত আটমাস ধরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার টানা দুই অঙ্কের ওপরে রয়েছে। পাইকারি মূল্য সূচক ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হারের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক( Ministry of Commerce and Industry) । 


নভেম্বরে কেন বাড়ল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি?


সরকারের জারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে WPI ১২.৫৪ শতাংশ বেড়ে ১৪.২৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এই সময় পর্বে খাদ্যপণ্যের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.০৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৭০ শতাংশ হয়েছে। উৎপাদিত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ১১.৯২ শতাংশ। জ্বালানির মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৯.৮১ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। 


নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হারের বৃদ্ধির কারণ খাদ্য সামগ্রী( food prices), অপরিশোধিত তেল(crude petroleum), মিনারেল ওয়েল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কেমিক্যালসের মুল্যবৃদ্ধি। খাদ্য সামগ্রীর দাম ৪.৮৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এর আগে প্রথম মাসে -১.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। 


সব্জির দামে ৩.৯১ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। এই সময় পর্বে ডালের দাম ২.৯ শতাংশ, গমের দাম ১০.১৪ শতাংশ, ডিম, মটন ও মাছের দামে ৯.৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। বেসিক মেটালসের(  basic metals)দাম বাড়ায় উৎপাদিত সামগ্রী সেগমেন্টের ইনডেক্স ১১.৯২ শতাংশ বেড়েছে। 


সোমবার সরকারের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছিল যে, নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরের ৪.৪৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৯১ শতাংশ।


সামগ্রিক পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েই চললে পেঁয়াজ ও আলুর মতো খাদ্যসামগ্রীর দাম নিম্নমুখীই রয়েছে। ২০২০-র নভেম্বরের তুলনায় পেঁয়াজ ও আলুর দাম এ বছরের নভেম্বরে যথাক্রমে ৩০ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।