Zerodha CEO: জিরোধার সিইও নিখিল কামাথ (Nikhil Kamath) সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ৬ সপ্তাহ আগে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এক্স হ্যান্ডলে তাঁর এই হৃদরোগের সম্ভাব্য কারণ এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য শেয়ার করে নিয়েছেন নেটিজেনদের সঙ্গে। আর এই পোস্টের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন নিখিল কামাথ।
এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় নিখিল (Nikhil Kamath) হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন এবং একটি ট্রেডমিলে দৌড়চ্ছেন, কসরত করছেন। আর পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন যে কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সেই মাইল্ড স্ট্রোকের কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন তাঁর বাবার মৃত্যু, কম ঘুম, ক্লান্তি, ডিহাইড্রেশন এবং বেশি পরিমাণে ওয়ার্ক আউট করাকে।
নিজের সাম্প্রতিক শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জিরোধা সিইও (Nikhil Kamath) লেখেন, 'মুখের মধ্যে আমার ক্লান্তি ছিল এতদিন, আমি ঢলে পড়েছিলাম বলা চলে। আমি লিখতে বা পড়তেও পারছিলাম না। অনেক বড় ক্ষতি হতে হতে বেঁচে গিয়েছি। অন্যমনস্ক হওয়া থেকে আজ আমি সচেতন মস্তিষ্কের মানুষ। আরও ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে আমার সম্পূর্ণ সুস্থ হতে। আমি অবাক হয়ে যাই যে মানুষ ফিট, সুস্থ সবল, নিজের খেয়াল রাখেন তিনি কীভাবে আক্রান্ত হতে পারেন। ডাক্তার বলেছেন, আমার জানা উচিত ঠিক কখন আমাকে সামান্য ঢিলে দিতে হবে জীবনের শিডিউলে। কিছুটা ভেঙে পড়েছি, কিন্তু তারপরেও আমার ট্রেডমিলে কাউন্ট থামেনি।'
সমাজমাধ্যমে এই পোস্ট দেওয়ার পরেই নিখিলের অনুরাগী বন্ধুরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। বন্ধু, সিইও আশনীর গ্রোভার এক্স হ্যান্ডলে সেই পোস্টের কমেন্টে লেখেন, 'ভাই, নিজের খেয়াল রাখো। আমি বুঝতে পারছি তোমার বাবার মৃত্যু গভীরভাবে তোমাকে আহত করেছে। কিন্তু এই ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে। আমি একদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিলাম। একটু ব্রেক নাও, অবসর নাও।'
আরেক সিইও দীপক শেনই কমেন্টে লেখেন, 'হা ঈশ্বর, এ তো তোমার পক্ষে খুবই কঠিন সময় নিখিল, তোমার সুস্থতা কামনা করি, সহজভাবে নাও পুরো বিষয়টা, আশা করি খুব শীঘ্রই তোমার মুখে হাসি ফুটবে।'
বছরের শুরুতেই একটি মজার ভিডিয়ো পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন নিখিল কামাথ (Nikhil Kamath)। তাঁর জিরোধার অফিসে মিথ্যা পুলিশি হানার ভিডিয়ো। উপস্থিত কর্মীদের আর্থিক তছরূপের অভিযোগে একটা ঘরে তালাবন্ধ করে রাখতে দেখা যায় সেই ভিডিয়োতে। তবে ভিডিয়োর শেষে প্রকাশ পায় আসল সত্য। ১০-১১ বছর আগের সেই ভিডিয়ো সাড়া ফেলেছিল নেটদুনিয়ায়।