নয়া দিল্লি: বছর শেষের আগেই জিএসটি কাউন্সিলের সভায় ঠিক হয়েছিল যে জ্যোমাটো (Zomato) এবং সুইগি (Swiggy)-এর মত অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে এবার পরিষেবা কর (GST) দিতে হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছিলেন গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ হারে পণ্য ও পরিষেবা কর সংগ্রহ করবে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলি। নতুন বছর থেকেই কার্যকর হবে এই বিধি।
আজ থেকেই সেই মোতাবেক চালু হল এই নয়া ব্যবস্থা। নতুন নিয়ম অনুসারে, এমন অনেক রেস্তরাঁ আছে যারা এখনও জিএসটি-র অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা যদি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে গ্রাহকদের খাবার পাঠায়, তাহলে তাদেরও দিতে হবে জিএসটি। তবে কি বাড়বে খাবারের দাম? রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ জানিয়েছিলেন, সুইগি বা জোম্যাটোতে যে খাবার অর্ডার দেওয়া হত, তার জিএসটি দিত সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁ। কিন্তু এবার থেকে ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলিকেই দিতে হবে সেই জিএসটি।
যদিও অর্থমন্ত্রকের ঘোষণা, এই করের ফলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত খরচ পড়বে না। রেস্তরাঁগুলির কর ফাঁকি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। জোম্যাটো, ফুডপান্ডা, সুইগির মতো অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপগুলিকে রেস্তোরাঁর বদলে কর সংগ্রহ করে তা সরকারকে দেবে।
প্রসঙ্গত, রেস্তঁরাগুলির একটি বড় অংশ করে ফাঁকি দিচ্ছিল এমনই অভিযোগ করা হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। হরিয়ানায় ফুড ডেলিভারি অ্যাপের জমা দেওয়া করের সঙ্গে রেস্তঁরাগুলির জমা দেওয়া করের বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে বলেও জানান হয়। এও বলা হয়, গত দুই বছরে এই কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কোষাগারে করের ক্ষতির বোঝা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে, নয়া বছরের শুরুতেই বস্ত্রশিল্পে বাড়ছে না জিএসটি। শুক্রবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের মধ্যে এমনটাই জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের শিল্পমন্ত্রী বিক্রম সিং। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আবার নয়া বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করা হবে। তবে, অ্যাপ–নির্ভর অটো পরিষেবায় ৫ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে। এখন এ ক্ষেত্রে কোনও কর দিতে হয় না।