শিকাগো: ঘটনার বীভৎসায় এখনও শিউরে ওঠেন সবাই। গবেষকরা এখনও উদ্দেশ্যে খুঁজে বের করার চেষ্টায়, সেই ঘটনারই এবার বিচার শুরু হচ্ছে। ১৬ বছর আগের ঘটনা। ২০০৪ সালে এক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাকে খুন করেছিলেন লিসা মন্টগোমেরি। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার পর রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে পেট কেটে বের করে নেওয়া হয়েছিল গর্ভস্থ শিশুকে।

১৬ বছর পর সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিচার শুরুর আগে অপরাধটি নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত এক গবেষক বলছিলেন, ‘এতটা নিশংস, ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাতে প্রচুর পরিকল্পনা করে কাজে নামে ঘাতক।’

জানা যায়, তখন চার বাচ্চার মা ৩৬ বছরের মন্টগোমেরি নিজেও ছিলেন অন্তঃস্বত্ত্বা। বাড়ি থেকে কুকুরছানা নেওয়ার অছিলায় হানা দিয়েছিলেন। অনলাইনে তাঁকে খুঁজে পেয়ে নিশানা করেছিলেন।

যে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর ২০০৭ সালে তাঁকে মুত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিচার বিভাগীয় নানা জটিলতায় তা পিছিয়ে যায় আগামী বছরের শুরুতে। যে দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ফের শুরু হচ্ছে শেষপর্বের বিচার প্রক্রিয়া। চূড়ান্ত হবে ঠিক কী সাজা পাবেন তিনি।

মন্টগোমারির আইনজীবীদের দাবি, ইতিমধ্যে দীর্ঘদিন কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। তাই মৃত্যুদণ্ডের বদলে আজীবন কারাবাসের নির্দেশই দেওয়া হোক। পাশাপাশি ছোটবেলায় ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতন এমনকি ধর্ষণেরও শিকার হয়েছিলেন তিনি। যার পর থেকেই মানসিকভাবে কখনও স্বাভাবিক ছিলেন না তিনি।

কিন্তু হত্যার বীভৎসতা দেখে যে তত্ত্ব মানতে নারাজ ঘটনা নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তাঁরা। তাদের সাফ কথা, যেভাবে পেট কেটে গর্ভস্থ বাচ্চাটিকে বের করে আনা হয়েছিল, সেটা কাঁচা হাতের কাজ নয়। যথেষ্ট পড়াশোনা করে পোক্ত হাতেই যে কাজ করা হয়েছিল। আর যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিকল্পনা সাজিয়ে এই খুন, সেটা মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত কোনও ব্যক্তির পক্ষে আদৌ করা সম্ভব কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তাই কোথাও গিয়ে গোটা মার্কিন মুলুক তাকিয়ে বিচারকক্ষে ঘটনাক্রম নতুন কোন পথ ধরে।