ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: নির্বাচনের আগে শহরে ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা ৷ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তিন জন | ধৃতদের নাম মহসিন ইসলাম,সফিকুল গাজী ও আশানুর ইসলাম ওরফে আসান্তি ইসলাম ৷ রাজারহাট চৌমাথা থেকে গুন্ডা দমন শাখা গ্রেফতার করে তাদের ৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ এমএম পিস্তল, তিনটি কার্তুজ, ম্যাগাজিন ও একটি স্কুটার ৷ ধৃত মহসিনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশিপুর এলাকায় ৷ সফিকুলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা, মেটিয়াবুরুজ রবীন্দ্রনগর এলাকায় ৷ আসান্তির বাড়ি মাছিভাঙ্গা এলাকায় ৷ ধৃত তিনজনই অস্ত্র কিনত, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের ৷


কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা নির্বাচনের আগে ফের অস্ত্র উদ্ধার করল ৷ এর আগে বাবুঘাট থেকে ইয়াসমীন বেগম, শাহরুখ মিস্ত্রি নামে যাদের গুন্ডা দমন শাখা গ্রেফতার করেছিল, তাদের থেকে এই ধৃত তিন যুবক অস্ত্র কিনতো ৷ বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই অস্ত্র আসতো শহরে ৷ গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতদের থেকে একটি স্কুটারও উদ্ধার হয়েছে ৷ ওই স্কুটার করেই ভাঙড় থেকে অস্ত্র নিতে এসেছিলো ধৃতরা ৷ স্কুটারের মধ্যে থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ৷ এর আগে বাবুঘাট থেকে ধৃত ইয়াসমিন ও শাহরুখ যে অস্ত্র বিহারের মুঙ্গের থেকে আনতো তা বারুইপুরে আব্দুল গাজীকে ও পাশাপাশি এই তিন অভিযুক্ত অর্থাৎ মহসিন, সফিকুল ও আসান্তিকে দিতো বলে জানা গিয়েছে ৷ আব্দুল সেই অস্ত্র বসিরহাট, মালঞ্চ ও হাসনাবাদে সরবরাহ করতো ৷ অন্যদিকে মহসিন ও তার শাগরেদরাও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও শহরতলির একাধিক জায়গাতে অস্ত্র সরবরাহ করতো ৷



গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অস্ত্র পাচারকারী এই বিশাল চক্রতে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে ৷ তাদেরকে খোঁজ করছে গোয়েন্দারা ৷ কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা নির্দেশ দেন বৈঠকে যে প্রতিটি থানাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে ৷ নির্বাচনের আগে শহরে বেআইনি অস্ত্র চোরাচালান রুখতে বিশেষ কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ সঙ্গে ‘ট্রাবল মঙ্গার্স’ অর্থাৎ যারা এলাকায় গন্ডগোল পাকায় এবং যাদের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখা, তোলাবাজি, রাজনৈতিক দলের হয়ে ঝামেলা পাকানো-সহ নানা মামলায় একাধিকবার পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে ও জেল খেটেছে ৷ তাদের উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে ৷