হিন্দোল দে, কলকাতা: বাচ্চাদের খেলা অপছন্দ বলে এমন পৈশাচিক কাণ্ড? কলকাতার বড়বাজারে গতকাল ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে শিশুকে খুনের ঘটনায় এমনই প্রশ্ন উঠেছে।
পাঁচ তলার বারান্দা থেকে ২ বছরের শিশুকে নীচে ছুড়ে ফেলে খুনের অভিযোগ ৫৫ বছরের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ৬ বছরের আরও একটি শিশুকে ছুড়ে ফেলা হলেও নীচের দোকানের ছাউনির ওপর পড়ায় সে বেঁচে যায়। আপাতত এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সায়ধীন।
অভিযোগ, অভিযুক্ত মৃত শিশুর ৬ বছরের দিদিকেও ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি, কিন্তু তার মা সময়মতো বাধা দেওয়ায় শিশুটি বেঁচে যায়।
রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ অমানবিক এই ঘটনা ঘটে বড়বাজারের থানা এলাকার ১১৩ নম্বর নেতাজি সুভাষ রোডের ওই বহুতলে।


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিবকুমার গুপ্তর প্রতিবেশী ২টি শিশুর পরিবার।
পাঁচ তলায় শিবকুমারের কয়েকটি ঘর পরে থাকেন মৃত শিশুর বাবা বিক্রম সাউ।
বিক্রমের আত্মীয় রাজকুমার থাকেন অভিযুক্তের পাশের ঘরেই। রাজকুমারের ৬ বছরের ছেলেকেও ছুঁড়ে ফেলা হয়।
প্রতিবেশী শিবকুমার কেন এমন নিষ্ঠুর কাণ্ড ঘটালেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না মৃত শিশুর বাবা। তিনি দোষীর কড়া শাস্তি দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আবার বাচ্চাদের আম খেতে দিয়েছিল অভিযুক্ত।

রবিবার রাতেই শিবকুমার গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

শিবকুমারের গাড়ির ব্যবসা ছিল। মৃত শিশুর বাবা অন্য লোকের গাড়ি চালাতেন। শিবকুমারের চার ছেলে। তিন ছেলে উত্তরপ্রদেশে দেশের বাড়িতে। বড়বাজারে ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন অভিযুক্ত। তাঁর ছোট ছেলেকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর বড়বাজার থানার পুলিশ মনে করছে, পরিকল্পনা করেই শিশুটিকে খুন করা হয়েছে।
নিছক আক্রোশ, না পিছনে অন্য রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।