কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয়বার নোটিস পাঠাল সিবিআই। এর আগে গণেশ বাগাড়িয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিস পাঠানো হয়।

নোটিসে সিবিআই বলে, ২৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ‍ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, বাগাড়িয়ার পরিবার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তিনি দুবাইতে আছেন। পাল্টা সিবিআই বলে, অবিলম্বে তাঁকে দেশে ফিরতে হবে, হাজিরা দিতেই হবে ২৪ তারিখ। কিন্তু সেই নোটিস পেয়েও ওই ব্যবসায়ী সিবিআই দফতরে হাজির হননি।  এরপর পাঠানো হয়েছে দ্বিতীয় নোটিস। আজ গণেশ বাগাড়িয়াকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ী লালার কয়লা কারবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

কয়লা পাচারকাণ্ডে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতার ৫ জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। তল্লাশি চলে গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গণেশের মধ্য কলকাতার অফিস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। তাতে লালার সঙ্গে গণেশের যোগসাজসের প্রমাণ মিলেছে। ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার মাধ্যমেই প্রভাবশালীদের কাছে লালার টাকা পৌঁছত কি না, ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

ইতিমধ্যেই লালার কোর টিমের ১০ জন ব্যবসায়ীকেও নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অন্যদিকে গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।