লখনউ: ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় ক্রমেই ভয়াবহ এক আতঙ্কভূমিতে পরিণত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়ি জেলা।মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের দুটি ঘটনা ঘটল সেখানে। মঙ্গলবার সতেরো বছরের এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে। নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, গত সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরয় ওই কিশোরী। বৃত্তির ফর্ম পূরণের কাজে পাশের গ্রামে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছিল সে। রাত বাড়লেও সে বাড়ি না ফেরায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তার পরিজনেরা। মিসিং ডায়েরি করা হয়। তল্লাশির পর কাছেই একটি পুকুর থেকে কিশোরীর খোবলানো, থ্যাঁৎলানো মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের জায়গা থেকেই কিশোরীর হ্যান্ডব্যাগ, মোবাইল ও রক্তমাখা ছুরি মেলে। দেহটি পুকুরে ফেলে দেওয়ায় কোনও পশু সেটি খুবলে খেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, ওই নাবালিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। তার ঘাড়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। খুনের আগে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ অফিসার সতেন্দার কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’’
এর আগে অনুরূপ এক ঘটনায় গত ১৪ অগস্ট বিকেলে নিখোঁজ হয়ে যায় এক কিশোরী। ১৫ অগস্ট ১৩ বছরের ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় এলাকারই একটি আখের খেত থেকে। ধর্ষণ করা হয়েছিল তাকেও। পরপর দুটি নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগী প্রশাসনকে আক্রমণ করা শুরু করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।