আমদাবাদ: পয়সা না দিয়ে এটা সেটা পেতে কার না ভাল লাগে! আর এখন তো ইন্টারনেট খুললেই বিনা মূল্যে লোভনীয় সব জিনিসপত্র পাইয়ে দেওয়ার হাতছানি। কিন্তু এর আড়ালে কী বিরাট অন্ধকার জগৎ রয়েছে জানেন? শুধু বরফের চাঁইয়ের চুড়োটুকু আমাদের নজরে পড়ে মাঝে মধ্যে, তাতেই আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই।

গুজরাতের আমদাবাদের এক মহিলা যেমন আকৃষ্ট হয়েছিলেন বিনা মূল্যে অন্তর্বাসের এক অফার দেখে। গত ৩ ডিসেম্বর তাঁর মোবাইলে এ ব্যাপারে টেক্সট মেসেজ আসে, তাতে বলা হয়, ক্রেতাদের ফ্রি ইনারওয়্যার দেবে তারা। মহিলা নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার ও অন্যান্য তথ্য ওই স্কিমে নথিবদ্ধ করেন। কয়েক সপ্তাহ বাদে তাঁর কাছে আর একটি মেসেজ আসে, যাতে বলা হয়, নির্দিষ্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে তাঁর ছবি পাঠিয়ে দিতে। এবারও তিনি ছবি পাঠিয়ে দেন।

এরপরেই তিনি আঁচ পান কেলেঙ্কারির। অজানা এক ব্যক্তি তাঁকে মেসেজ করতে থাকে, বলতে থাকে, বিনা মূল্যে অন্তর্বাস পেতে হলে তার কাছ থেকে ওই মহিলাকে নগ্ন ছবি নিতে হবে। তাতে রাজি হননি তিনি। এর পর হোয়াটসঅ্যাপে অভিযুক্ত তাঁকে ভয় দেখিয়ে মেসেজ করতে থাকে, তাঁর বিকৃত ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করার হুমকিও দেয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি ধারায় মানহানি এবং তথ্য প্রযুক্তি (সংশোধনী) আইনে আমদাবাদ সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অল্পদিন আগে এমনই এক ঘটনায় কলকাতার এক তরুণী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, লোকাল বাসে ঘোরার সময় তাঁর সম্মতি ছাড়াই সে মোবাইল ফোনে তাঁর ছবি তুলছিল। তিনি আপত্তি করলে ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি বলে, সে শুধু নিজের সেলফি তুলছে, তা নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই। কিন্তু ওই তরুণী তাকে হাতে নাতে ধরে ফেললে সে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তিনি তাঁকে তখনই ধরে ফেলেন ও ফোন করেন পুলিশের এমার্জেন্সি নাম্বারে। এক ক্রসিংয়ে বাসটি দাঁড়িয়ে যায়, এসে পড়ে পুলিশ ভ্যান। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, বাজেয়াপ্ত করা হয় তার ফোনটি।