সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: করোনাকালে কার্যত মুঠোফোনেই আবদ্ধ জীবন।বাড়িতে বসে কেনাকাটা থেকে...বিল পে। ফোন রিচার্জ থেকে টাকার লেনদেন!সবই এখন ঘরে বসে। কিন্তু, তার জন্য দরকার দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা।এবার সেখানেই নজর প্রতারকদের! মোবাইল ফোনের সিমকার্ড ৪ জি-তে পরিবর্তন করার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ।
হুগলির ব্যান্ডেলের এক ব্যবসায়ীর দাবি,২২ জুলাই, তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। সিমকার্ড ৪জি-তে পরিবর্তন করার কথা বলা হয়।দিতে বলা হয় বিকল্প একটি মোবাইল নম্বর।সেই মতো স্ত্রীর ফোন নম্বরটি দেন। এরপরই তাঁর মোবাইল ফোনের টাওয়ার চলে যায়।এরপরই তাঁর স্ত্রীর মোবাইলে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে একটি ফোন আসে। তাঁদের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ আছে কি না, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।অ্যাকাউন্ট সচল আছে বলার পরই ফোন কেটে যায়।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর দাবি, দু‘মাস পর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যান।সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করে দেখেম, কোনও টাকা নেই। সেখান থেকে ১০ লাখ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে।
ওই ব্যক্তির আরও দাবি, ব্যাঙ্কের তরফে তাঁকে জানানো হয়,৩৬ বার অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে।
শুক্রবার চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর,প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কী ভাবে প্রতারণা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ব্যাঙ্কের চুঁচুড়া শাখার ম্যানেজার জানিয়েছেন,এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। লিখিত অভিযোগ করা হলে, তা খতিয়ে দেখা হবে।