হায়দরাবাদ : প্রথমে ঠান্ডা মাথায় খুন, তারপর করোনায় মৃত প্রমাণের জন্য যাবতীয় চেষ্টা। যদিও শেষমেশ পুলিশের জালে অভিযুক্ত। ঘটনা হায়দরাবাদের। শনিবার হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত অটো রিকশা চালক রমাবত বিজয়কে। পুলিশের পক্ষ থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে সেখানে জানা গিয়েছে, শ্রেফ সন্দেহের বশে খুন ও তারপর কোভিডে মৃত সাজানোর নাটক।


হায়দরাবাদ সিটি পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, 'গত ১৮ জুন ঘুমের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় রমাবত কবিতাকে (২১) খুন করে তাঁর স্বামী।'- হায়দরাবাদ শহরের উপকন্ঠে বৈদৈহি নগরের বনস্থালিপূরমের যে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ উদ্ধার করেছে, অন্য এক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহের বশেই কবিতাকে খুন করে বিজয়। খুনের পর অবশ্য কবিতার বাবা-মাকে সে জানায়, কোভিডের জেরে তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিজের অটোর কবিতার দেহ চাপিয়ে নিজেদের গ্রামে নিয়ে গিয়ে মাটিতে কবর দেওয়ার কাজও সেরে ফেলে।


যাতে কারোর সন্দেহ না হয় সঙ্গে কবিতার মৃতদেহ থেকে যাতে বাকিদের দূরে রাখা যায়, তাই সে কোভিডে মারা গিয়েছে বলে নাটক চালিয়ে যায় বিজয়। যদিও মেয়ের মৃতদেহের দেখে নিজেদের সামলাতে না পেরে মেয়েকে ধরে কাঁদা কবিতার বাবা-মায়ের কিছুদিন পর পর্যন্ত কোনও কতোভিড জনিত উপসর্গ ধরা না পড়ায় তাদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। তারপরই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন।


পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে বিজয়ের বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের সন্দেহ হয়, তারপরই কবিতার মা ধনাবত ভুজি বনস্থালিপূরমের পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত এগোনোর পর কবর খুঁড়ে কবিতার দেহ বের করে এনে অটোপসি করায়। যার রিপোর্ট হাতে পেতেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কবিতার কোভিড টেস্ট করানোর জন্য জোর করেছিল বিজয়। যেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে টেস্টের ঠিক সাতদিনের মাথায় স্ত্রীকে খুন করে বিজয়। সন্দেহের বশে কথা কাটাকাটির পরই যে পথ ধরে সে।