চেন্নাই: এক যুবকের অপরিণামদর্শী আচরণের মর্মান্তিক পরিণতি। ইউটিউবে ভিডিও দেখা জ্ঞান ফলিয়ে গোপনে প্রেমিকার প্রসব করাতে গিয়ে চরম বিপদ ডেকে আনল ওই যুবক। ১৯ বছরের প্রেমিকা এখন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছে যে, এই তরুণী ও যুবক পোন্নেরির কাছের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ২৭ বছরের ওই যুবক পেশায় গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি ম্যান। তরুণী কলেজ ছাত্রী। গ্রামের এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরইমধ্যে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গত বুধবার তাঁর প্রেমিককে তিনি জানান যে, তিনি প্রসব বেদনা অনুভব করছেন।
এরপর ওই যুবক সার্জিক্যাল গ্লাভস ও ব্লেড কিনে ওই তরুণীকে বাইকে চাপিয়ে চেন্নাইয়ের শহরতলিতে তাদের গ্রামের কাছে একটি কাজুবাদামের খেতে নিয়ে যায়। ইউটিউবে কয়েকটি ভিডিও দেখে সে প্রসব করানোর চেষ্টা করে। ভিডিও দেখে সে জানতে পেরেছিল, প্রথমে গর্ভস্থ শিশুর মাথা বেরোয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শিশুর হাত বেরিয়ে আসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তা জানতে ভিডিও দেখার চেষ্টা করে এবং জোর করে শিশুটিকে টেনে বের করার চেষ্টা করে। এরফলে হাত ছিঁড়ে যায়। ওই তরুণীর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর কোনও উপায় না দেখে তরুণীকে বাইকে চাপিয়ে ১২ কিমি দূরে পোন্নেরির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত চিকিত্সকরা তরুণীকে রোয়াপুরমের আরএসআরএম ম্যাটারনিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁর অস্ত্রোপচার করেন এবং নিথর শিশুর জন্ম হয়।
প্রচুর রক্তক্ষণের জন্য ওই মহিলা অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে খুনের মামলা দায়ের করেছে। ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরও কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল দুই পরিবারের, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ দুই পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।