কলকাতা: মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। ১৪ অগাস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের তদন্তে এবার ডাক পড়ল DYFI নেত্রী মীনাক্ষীর। সেই মতো সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক। ৯ অগাস্ট আর জি কর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের দেহ বার করার সময়, শববাহী গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়।কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ছবিতে মীনাক্ষীকে দেখা যায়। সেই সূত্রেই DYFI নেত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় CBI. (Minakshi Mukherjee)
এদিন সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান মীনাক্ষী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "আমরা নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি চাই। তাড়াতাড়ি শাস্তি হয় যাতে, তার জন্যই এসেছি। পুলিশ জোর করে বের করছিল। আমরা গাড়ি আটকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। নির্যাতিতার দোষীরা শাস্তি পাক। আন্দোলনকে ডাইভার্ট করা যাবে না। আমরা নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি চাইছি। প্রশাসন এবং প্রশাসনের কর্তারা যাঁদের শাস্তি দিতে চাইছেন এবং যাঁরা যুক্ত আছেন, সেখানে আমরা যা জানি, তা দিয়ে সাহায্য করব।" কয়েকদিন আগেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় CBI-এর দফতরে যেতে পারেননি মীনাক্ষী। আজ হাজির হন শেষমেশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিক বৈঠক করার কথাও রয়েছে তাঁর।(RG Kar Case)
গত ২৪ অগাস্ট যখন 'রাতদখল' চলছে, সেই সময় আর জি কর হাসপাতালে ধুন্ধুমার বাধে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ওই সময়ও ঘটনাস্থলে মীনাক্ষীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল DYFI. আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব নিয়ে ভিন্ন সুর রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাম-রাম একসঙ্গে মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সোশাল মিডিয়ায় যা লেখেন, সেখানে না বাম, না বিজেপি। কাউকে সরাসরি দায়ী করেননি তিনি। উল্টে রাজনৈতিক রং না দেখে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে অভিষেকের সেই মন্তব্যে সমর্থন জানান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস যদিও ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তোলে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায়, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালায় বলে দাবি করে তারা। সেই নিয়ে বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে।
মীনাক্ষীকে ডেকে পাঠানোর আগে, ঘটনাচক্রে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত। আর জি করের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নিয়ে একটি অডিও রেকর্ডিং ভাইরাল হয়। যে দুই ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা যায় অডিও রেকর্ডিংয়ে, তাঁদের মধ্যে একজন কলতান বলে দাবি করে পুলিশ। সেই মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে।