মুম্বই: পান বেচে কোটিপতি। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স যত বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গোঁফের সাইজ। মুম্বইয়ের বিখ্যাত সেই গোঁফওয়ালা পান বিক্রেতা রামকুমার তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ড্রাগ কারবারীদের সম্পর্ক রয়েছে।

শুধু যে রামকুমার পানওয়ালারই দেখানোর মত গোঁফ রয়েছে তা কিন্তু নয়। মুম্বইয়েই থাকেন তাঁর পার্টনার জয়শঙ্কর, তাঁর গোঁফও রীতিমত তা দেওয়ার যোগ্য। এক সঙ্গে এঁরা চালান বিখ্যাত পানের দোকান মুচ্ছড় পানওয়ালা। এঁদের সঙ্গে আমাদের পাড়ার পান গুমটির রোগাভোগা দোকানিদের তুলনা করবেন না। মুচ্ছড় পানওয়ালার নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে, শুধু মুম্বই নয়, গোটা বিশ্বে রফতানি হয় তাঁদের পান। পান বেচে মার্সিডিজ কিনেছেন রামশঙ্কর, দক্ষিণ মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে। মিষ্টি কথার সঙ্গে মিঠে পান- এই সঙ্গতে বাঁধা পড়েছেন বড় বড় শিল্পপতি, ক্রিকেটার, বলিউড তারকারা।

কিন্তু গতকাল জয়শঙ্কর আর রামকুমার দুজনকেই জেরা করে এনসিবি, তারপর রামকুমারকে গ্রেফতার করে। এর আগে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এনসিবির মুম্বই শাখা শহরের তিনটি এলাকায় তল্লাশি করে ২ মহিলা এবং ১ ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেফতার করে, তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২০০ কেজি গাঁজা। গ্রেফতার হওয়া ২ মহিলা হলেন রাহিলা ফার্নিচারওয়ালা, যিনি কিনা এক বলিউড অভিনেত্রীর প্রাক্তন ম্যানেজার, সাহিস্তা ফার্নিচারওয়ালা এবং ব্রিটিশ নাগরিক করণ সজনানি। এনসিবির দাবি, করণ গোয়া, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে ড্রাগ সরবরাহ করতেন, তিনিই আন্তর্জাতিক ড্রাগ চক্রের কিংপিন।

এই করণকে জেরায় উঠে আসে মুম্বইয়ের বিখ্যাত মুচ্ছড় পানওয়ালার নাম। সোমবার বেলা ১০টা নাগাদ রামকুমারকে ডাকা হয় এনসিবি অফিসে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ড্রাগ কিনলে তার ব্যবহার তিনি কীভাবে করতেন। পানে ড্রাগ মেশাতেন কিনা, নাকি বেচতেন নির্দিষ্ট কয়েকজনের কাছে। সদুত্তর না মেলায় এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।