নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে একাধিক দেশে। কিন্তু টিকাকরণ হলেও হার্ড ইমিউনিটি বা অনাক্রমতা তৈরি হবে না। সোমবার এমন আশঙ্কার কথাই শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলেও এই বছর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। মানতে হবে করোনাবিধিও। তাঁর কথায়, ‘’২০২১ সালে জনসংখ্যাগত ভাবে অনাক্রমতা বা কঠোর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। তাই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরতে হবে।“ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি টিকাকরণ শুরু করেছে। কিন্তু টিকাকরণ সম্পর্কে সন্দেহ আছে অনেকের। আবার ভাইরাস গঠনগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। তাই এই অবস্থায় টিকাকরণ হলেও অনাক্রমতা বা হার্ড ইমিউনিটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এদিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। মূলত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বায়োএনটেক-ফাইজার, মডার্না প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। স্বামীনাথন বলেন, সারা বছর মেনে চলতে হবে করোনাবিধি। যেভবে গবেষক, বিশেষজ্ঞরা কাজ করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

গত বছরই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন তথা প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ে ব্রিটেন সহ সারা দেশে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সিল করে দেওয়া হয় সব সীমান্ত। ব্রিটেনের সব বিমান বাতিল করে দেয় একাধিক দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন ধারা করোনা ছড়াতে পারে খুবই দ্রুত হারে। ভাইরাসের অন্য প্রজাতির তুলনায়, এই ৭০ শতাংশ ক্ষতিকর। আর তাতে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে লন্ডনে। এদিকে করোনা উৎপত্তি স্থল দেখতে চিনে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল। দীর্ঘ টালবাহানার পর চিনে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে জিনপিন সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গঠিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল আগামীকাল পৌঁছবে বেজিংয়ে।