রাজকোট: বছর কুড়ি বয়সের মেয়েটি এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করতে চেয়েছিল। আর তা নিয়েই বাবার সঙ্গে অশান্তি। শেষটায় রাগের চোটে মেয়েটিকে মেরেই ফেললেন বাবা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজকোটে।


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজকোটের গান্ধীগ্রামের শাহনগর এলাকায় বসবাসকারী গোপাল নাকুম নামে এক ব্যক্তি দিনমজুরের কাজ করেন। তাঁর মেয়ে ইলা এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করতে চাওয়া নিয়েই গতকাল সকালে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ঘরে। লন্ড্রিতে কাজের জন্য ব্যবহৃত মুগুরের আঘাতে মেয়েকে মেরে ফেলেন তিনি।

রাজকোটের পুলিশ কমিশনার মনোজ আগরওয়াল বলেন, সকালে বাবা মেয়েকে চা খেতে বলেন। কিন্তু মেয়ে বলে যে মুসলিম ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়া হলে সে চা তো দূরের কথা এক গ্লাস জল পর্যন্ত খাবে না। তা শুনেই ওই ব্যক্তি রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মুগুর দিয়ে দু-তিন বার আঘাত করেন মেয়ের মাথায়। তাতেই মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। এক প্রতিবেশী ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স আনান। সরকারি পিডিইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাটিকে ঠিক পারিবারিক সম্মান রক্ষার জন্য খুন বলে মনে করছেন না আগরওয়াল। কিছুদিন আগে মেয়েটি ওই ছেলেটির সঙ্গে পালিয়েছিল, কিন্তু ছেলেটির বয়স ১৯ অর্থাৎ আইনত বিয়ের বয়স হয়নি। তাই ছেলেটির বাড়ি থেকে আবার মেয়েটিকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। চলতি বছরেই ১৮ জুন মেয়েটির মা মারা গিয়েছেন। একলা বাড়িতে বাবা আর মেয়ে থাকতেন। মাঝে মাঝেই বিষয়টি নিয়ে অশান্তি লেগে থাকতো, শেষটায় এই পরিণতি। আগরওয়াল মনে করছেন রাগের মাথায়ই কাজটা করে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি।মেয়েটির বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।