কলকাতা: নিজের খরচ প্রচুর অথচ রোজগার নেই। তাই অবসরপ্রাপ্ত টাইপিস্ট বাবাকে টাকার জন্য চাপ দিত ছেলে। ফ্ল্যাট বিক্রির টাকাটা হাতছাড়া করতে চাননি প্রৌঢ়। তাই মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে গুণধর সন্তান খুন করেছে তাঁকে। যাদবপুরে প্রৌঢ় খুনের ঘটনায় এমনই অনুমান করছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছেলেকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যাদবপুরের রায়পুর ইস্ট রোডের আবাসনে প্রৌঢ় খুনের ঘটনায় নানা প্রশ্নের এখনও উত্তর নেই। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, বিলাস বহুল জীবন যাপন করতে বাধা দেওয়ায় খুন? নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাবাকে আক্রমণ করে ছেলে? খুনের নেপথ্যে সঠিক কারণ কী?

শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় এক প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে পুলিশ। বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় আদালতের টাইপিস্ট ছিলেন মৃত শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন ছেলে অর্পণ। লকডাউনে নিজের একটি ফ্ল্যাট বিক্রিও করে দেন প্রৌঢ়। প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, টাকা নিয়ে প্রায়ই বচসা হত বাবা ছেলের। বাবাকে প্রায়ই মারধর করতেন ছেলে।

এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, টাকা নিয়ে অর্পণ প্রায়ই অশান্তি করতেন। গতকাল সন্ধেতেও বাবাকে মারধর করেন। তারপর পাড়ার লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা করেন। ঘরে ফেরত দিতে গিয়ে দেখেন, বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে।

যদিও মা দাবি করছেন, ছেলের কোনও দোষ নেই। তাঁর বক্তব্য, ছেলে কিছু করেনি। তাঁর স্বামী ৩২ বছর ধরে কিছুই দেয়নি তাঁদের। ছেলের দোষ নেই।

তবে পুলিশ মনে করছে, ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, মানসিক সমস্যা রয়েছে অর্পণের। তাঁকে মানসিক চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনের নেপথ্যে সঠিক কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।