সুদীপ চক্রবর্তী,রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মহম্মদ আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে তাঁর ভাইপো। সম্পত্তি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন বলে দাবি মৃতের পরিবারের। অভিযুক্ত ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি গুলি। পরিবারের দাবি, প্রজাতন্ত্র দিবসে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তৃণমূল কর্মী। আজ, বুধবার সকালে পাশের গ্রাম থেকে মহম্মদ আলির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। বুকে গুলি লাগে ওই তৃণমূল কর্মীর। তৃণমূলের তরফে এটিকে রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করা হলেও, খুনের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদকে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার। তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।


রায়গঞ্জে তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার মহারাজা গ্রামে। মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার শীতগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণমুড়ি গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ও দুষ্কৃতীদের তল্লাশি অভিযানে নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুর। খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দলের কর্মী মহম্মদ আলির খুনের ঘটনায় বিরোধী দলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই ভাইপোর হাতে কাকার খুন হয়েছে।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রায়গঞ্জের মহারাজা গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে যোগ দিতে আসেন কৃষ্ণমুড়ি এলাকার বাসিন্দা, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মহম্মদ আলি। এরপর আর সারা রাত বাড়ি ফেরেননি মহম্মদ আলি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজখবর করেও তাঁর হদিশ পাননি। বুধবার সকালে মহারাজা গ্রামে মাঠের ধারে রাস্তায় মহম্মদ আলির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের বুকে গুলির চিহ্ন দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে মহম্মদ আলিকে গুলি করে খুন করে। ঘটনার পূনার্ঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।